কোভিড হলে শরীরের বেশ কিছু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে তার ধাক্কা লাগে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। প্রতীকী ছবি।
এমনিতেই স্ট্রোক হলে জীবনের আশঙ্কা থাকে। কিন্তু পরিস্থিতি জটিল করে তুলেছে কোভিড। অতিমারি পরিস্থিতিতে স্ট্রোক নিয়ে দীর্ঘ গবেষণার পরে চিকিৎসকেরা বলছেন, কোভিডের মধ্যে স্ট্রোক হলে সুস্থ হওয়া বা বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে যেতে পারে।
দেশের ১৭টি হাসপাতালের সঙ্গে হাত মিলিয়ে অতিমারি শুরুর আগে এবং পরে স্ট্রোকে আক্রান্তদের অবস্থা এবং কোভিড না হওয়া রোগীদের স্ট্রোক নিয়ে গবেষণা করেছে দিল্লির এমস। সেই গবেষণার রিপোর্টই চিন্তা বাড়াচ্ছে চিকিৎসকদের। গবেষণাকারী চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, কোভিডে আক্রান্তদের স্ট্রোক হলে তার ধাক্কা এবং মৃত্যুর হার তুলনামূলক ভাবে বেশ বেশি। কোভিডে আক্রান্তদের স্ট্রোক হলে সেরে ওঠার সম্ভাবনা প্রায় ৫০ শতাংশ কমে যায়।
গবেষক-দলের অন্যতম সদস্য তথা এমস-এর স্নায়ু বিভাগের অধ্যাপক-চিকিৎসক কোহিত ভাটিয়ার বক্তব্য, সাধারণ ভাবে কোনও রোগীর স্ট্রোক হওয়ার তিন মাসের মধ্যে তিনি স্বাধীন ভাবে কাজকর্ম করার মতো অবস্থায় ফিরলে আমরা বলতে পারি, ভাল উন্নতি হয়েছে। কিন্তু কোভিড রোগীর ক্ষেত্রে এটাই খারাপ। সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যায়। যদিও এর জন্য কোভিড নির্দিষ্ট ভাবে কতটা দায়ী, তা এখনও পুরোপুরি স্পষ্ট নয়।
কোভিড হলে শরীরের বেশ কিছু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে তার ধাক্কা লাগে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁদের বক্তব্য, এই সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলির মধ্যে মস্তিষ্ক অন্যতম। এমস-এর স্নায়ু বিভাগের প্রধান এম ভি পদ্ম শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘কোভিডের জন্যই স্ট্রোক হচ্ছে, এটা নির্দিষ্ট করে বলা যায় না। যদিও কোভিডের কারণে রক্ত জমাট বাঁধার আশঙ্কা বাড়ে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy