যে পোষ্যরা খুব সক্রিয়, তাদের মধ্যে সিসিডি হওয়ার ঝুঁকি কম। ছবি- সংগৃহীত
বয়স বাড়লে মানুষের মধ্যে অ্যালজাইমার্স, ডিমেনশিয়ার মতো রোগের প্রকোপ বাড়ে। সাম্প্রতিক একটি গবেষণা বলছে, শুধু মানুষ নয়, ডিমেনশিয়ার শিকার হতে পারে সারমেয়রাও। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় কুকুরের ডিমেনশিয়াকে বলা হয় ‘ক্যানাইন কগনিটিভ ডিসফাংশন’(সিসিডি)।
‘সায়েন্টিফিক রিপোর্টস’-শীর্ষক মেডিক্যাল পত্রিকায় কুকুরের ডিমেনশিয়া সম্পর্কিত একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, এক বছর করে বয়স বাড়ার সঙ্গে কুকুরের ‘সিসিডি’ হওয়ার আশঙ্কা ৫২ শতাংশ করে বৃদ্ধি পায়। সারমেয়র শারীরিক অবস্থা, সন্তান জন্ম দেওয়ার হার— এমন কয়েকটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে ‘সিসিডি’তে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কতটা। বংশে কোনও কুকুরের এই রোগ থাকলেও ‘সিসিডি’ হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। গবেষকরা বলছেন, যে পোষ্যরা খুব সক্রিয়, তাদের মধ্যে সিসিডি হওয়ার ঝুঁকি কম। তুলনায় সারা ক্ষণ ঝিমিয়ে থাকা পোষ্যদের, ‘সিসিডি’-এর শিকার হওয়ার আশঙ্কা বেশি। এমনকি কোনও কুকুরের চোখ, কান বা স্নায়ুর কোনও সমস্যা থাকলেও সিসিডি হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ১৪ থেকে ৩৫ শতাংশ সিসিডি আক্রান্ত কুকুরেরই বয়স হয়ে গিয়েছে। সমীক্ষায় প্রায় ১৫ হাজার ‘সিসিডি’ আক্রান্ত কুকুরের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। ‘সিসিডি’ নিয়ে গবেষণায় যুক্ত গবেষকরা জানাচ্ছেন, ‘সিসিডি’-এর সমস্যা সহজে ধরা যায় না। কুকুরদের বয়স হলে দৃষ্টিশক্তি হারানো, কানে শুনতে না পাওয়ার মতো কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। এ ছাড়াও বাড়ির চার পাশে অকারণে ঘুরে বেড়ানো, রাতে জেগে থাকা, বাড়ির প্রশিক্ষণ ভুলে যাওয়ার মতো কয়েকটি লক্ষণও দেখা দেয়। বাড়িতে পোষ্য থাকলে, এমন কিছু উপসর্গ দেখা দিলে বাড়তি নজর দিন। প্রয়োজনে পশু চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শও করতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy