হাঁটতে গেলেই কোমর থেকে শুরু করে পা পর্যন্ত অসহ্য যন্ত্রণা। সায়টিক নার্ভে কোনও ভাবে চোট বা চাপ লাগলে কোমর ও পায়ের ব্যথায় ভয়ানক কষ্ট পেতে হয়। ব্যথার ওষুধ, গরম সেঁক, ফিজিওথেরাপি কিছুতেই যেন ব্যথার হাত থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যায় না। ১০০ জনের মধ্যে প্রায় ৪০ জন জীবনের কোনও না কোনও সময় লোব্যাক পেনে ভোগেন। মাঝবয়সি মহিলাদের মধ্যে কোমর, পায়ের যন্ত্রণার ঝুঁকি তুলনামূলক ভাবে অনেক বেশি। বললেন ব্যথা বিশেষজ্ঞ (পেন ম্যানেজমেন্ট) গৌতম দাস। তবে সাধারণ লোব্যাক পেনের সঙ্গে সায়টিকার কোমর ও পায়ের ব্যথার তফাৎ আছে।
সায়টিকা ও লো ব্যাক পেনের পার্থক্য
আমাদের দেশে প্রতি বছর এক কোটি মানুষ সায়টিকার ব্যথায় কষ্ট পান। অবশ্য লো ব্যাক পেনের সঙ্গে সায়টিকার ব্যথার কিছু মূলগত পার্থক্য আছে। মেরুদণ্ডের নীচের দিকে ব্যথা হলেই সাধারণ মানুষ লো ব্যাক পেন শব্দটি ব্যবহার করেন। কোমরের পিছনে ও মেরুদণ্ডের নিচের দিকে ব্যথা মানেই লো ব্যাক পেন। কিন্তু সব লো ব্যাক পেন সায়টিকা নয়, বললেন ফিজিক্যাল মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ মৌলিমাধব ঘটক। লো ব্যাক পেন হলে কোমরে খুব ব্যথা অনুভূত হয়। হাঁটতে চলতে গেলে কষ্ট হয়। সিঁড়ি ওঠানামা করা মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়। অন্যদিকে সায়টিকার ব্যথায় কোমরের তীব্র ব্যথা নিচে পায়ের নীচ পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। সায়টিকার ব্যথা সাধারণত ডান বা বাম যে কোনও একদিকে হয়। গৌতম দাস জানালেন, আদতে সায়টিকা আমাদের শরীরের দীর্ঘতম নার্ভ বা স্নায়ু। দু’দিকের কোমরের পিছনে দুটি সায়টিকা নার্ভ থাকে। কোমরের পেছন দিক থেকে বেরিয়ে পায়ের পেছন দিক দিয়ে গিয়ে নীচে পর্যন্ত এই দুটি নার্ভ বিস্তৃত। মেরুদণ্ডের কোনও সমস্যায় সায়টিকা নার্ভে চাপ পড়লে কোমর থেকে ব্যথা ক্রমশ পায়ের নীচের দিকে নেমে যায়। লো ব্যাক পেনের সঙ্গে সায়টিকার ব্যথার আরও কিছু পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। যেমন সায়টিকা হলে ব্যথার পাশাপাশি পা ঝিনঝিন করে ও অবশ হয়ে যায়। সাধারণ লো ব্যাক পেন হলে শুধু ব্যথাই হয়, বললেন মৌলিমাধব।