বছর বছর এক রঙের শাড়ি পরেও একঘেয়ে লাগে না তো সরস্বতী পুজোর দিনটা? চার দিকের হলদে শাড়ি-পাঞ্জাবি কি একটু আনন্দই দেয় মনে? সরস্বতী পুজোর সাজ কেন বাসন্তী হল? ঠিক কী আছে এই বাসন্তী রঙে? এমন প্রশ্ন নিশ্চই কখনও উঠেছে মনে?
উত্তরটা খুঁজতে শুরু করলেই টুক করে বেরিয়ে পড়ে এই রঙের সঙ্গে বসন্ত ঋতুর সম্পর্ক।
সরস্বতী পুজো হয় বসন্ত পঞ্চমীতে। আর বসন্তকালের আগমন বার্তাই বয়ে আনে এই পঞ্চমী। সেই পঞ্চমীতে এক দল মানুষ যেমন মন দেন বিদ্যার দেবীর আরাধনায়, তেমন এ দেশের নানা গ্রামে শুধু ঋতু বদলের উদ্যাপনেও মাতেন অনেকে। শীতকালের কড়া ঠান্ডা ধীরে ধীরে কেটে গিয়ে ফুর ফুরে হাওয়া দেয় যে এই সময়ে। সেই মিষ্টি হাওয়ার সঙ্গে মিলে যায় সর্ষে খেতের রং।আরও কত ফুল ফোটে এই সময়ে। যার বেশির ভাগেরই রং হলদে, নয়তো বা কমলা।
সেই রং যেমন উজ্জ্বল। তেমন আনন্দেরও। সর্বত্রই যে এই সময়টা সবচেয়ে আরামদায়ক। না থাকে অতি শীতের কষ্ট, না আসে ভর গ্রীষ্মের ভ্যাপসা ভাব। ফলে মানুষের মন ভাল থাকে। আর তাই বসন্ত হয়ে উঠেছে প্রেমের সময়। আনন্দের সময়। শীতের কাঠিন্য ছাড়িয়ে আবারও সবুজ সময়ের দিকে যাওয়ার ইঙ্গিত দেয় এই ঋতু। চারদিকে উজ্জ্বল বাসন্তী রঙের ব্যবহারও যেন সেই আনন্দে ভরা সময়টার প্রতীক।