৭০ শতাংশ অ্যালকোহল আছে এমন স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। ছবি: শাটারস্টক।
• সাধারণ মানুষের গ্লাভস পরার দরকার নেই। নিয়ম মেনে না পরলে উলটে বিপদ। তার চেয়ে হাত ধুয়ে নেওয়া অনেক নিরাপদ।
আরও পড়ুন:‘হার্ড ইমিউনিটি’ গড়ে উঠতে আর কত দিন, ভ্যাকসিনই বা কবে?
• রাস্তায় বেরলে মাস্ক বাধ্যতামূলক। অফিসেও পরবেন। ত্রি স্তরীয় মাস্ক সবচেয়ে ভাল। তবে গরমে অসুবিধা হলে দ্বি-স্তরীয় পরুন। বেশ বড় মাপের। নাকের উপর থেকে চিবুকের নীচ ও কান পর্যন্ত গালের পুরোটাই ঢাকা থাকতে হবে। আপনার ৬ ফুটের মধ্যে কেউ যেন মাস্ক না পরে না আসেন। বাড়ি ফিরে সাবান-জলে সুতির মাস্ক ধুয়ে শুকিয়ে নিন। সার্জিক্যাল মাস্ক হলে তা ধুয়ে নিয়ে কেটে ফেলে দিতে হবে. কারণ এর কার্যকারিতা ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা। যদি ৫টা ভালভবিহীন এন-৯৫ মাস্ক থাকে ও আলাদা করে রাখার জায়গা থাকে, পর পর ৫ দিন আলাদা আলাদা মাস্ক পরে আবার ষষ্ঠ দিন এক নম্বর মাস্ক দিয়ে শুরু করতে পারেন। রোগ ঠেকানোর ২০ শতাংশ দায়িত্ব আছে মাস্কের উপর।
আরও পড়ুন: কোষ্ঠকাঠিন্য ও অর্শে ভুগছেন? রেহাই পেতে এই সব মানতেই হবে
• মাস্ক পরছেন বলে মানুষের সঙ্গে দূরত্ব রাখবেন না, এমন যেন না হয়। ৬ ফুটের বেশি দূরত্ব রাখতে পারলে সবচেয়ে ভাল। নয়তো কম করে ৩ ফিট।
• চোখে চশমা থাকলে আর কিছু লাগবে না। না থাকলে রোদচশমা পরে বের হন।
• চুল বেঁধে স্কার্ফে মাথা ঢেকে নিন। কারণ বাসে-ট্রামে খোলা চুল অন্যের নাকে-মুখে উড়ে লাগতে পারে। তাঁদের রোগ আছে কি না তা তো জানেন না! সেই চুল আপনার নাকে-মুখে লাগলে বিপদ হতে পারে। তা ছাড়া বড় চুল রোজ শ্যাম্পুও করা যায় না।
• গয়নাগাঁটি, ঘড়ি পরে বেরবেন না। কারণ ধাতুর উপর প্রায় ৫ দিন থেকে যেতে পারে জীবাণু।
• অফিসে নিজস্ব কাপ রেখে দেবেন। সাবান-জলে ধুয়ে সেই কাপে চা-কফি খাবেন। ক্যান্টিন থেকে যে পাত্রেই আসুক, চা-কফির তাপে জীবাণু মরে যাবে, ভয় নেই।
• বাড়ি থেকে টিফিন নিয়ে যাবেন। নয়তো খোসা ছাড়িয়ে খেতে হয় এমন ফল খাবেন। প্যাকেটের বিস্কুট বা বাদাম খেতে পারেন মাঝে মধ্যে। প্যাকেট খুলে পরিষ্কার করে ধোয়া পাত্রে ঢেলে, হাত ধুয়ে তার পর খাবেন।
• রাস্তার কিছু খাওয়া ঠিক নয়। বড় রেস্তরাঁয় সব নিয়ম মেনে খাবার বানালে, এক-আধ বার খেতে পারেন। না খেলে আরও ভাল। খাবার বাড়িতে এনে গরম করে খেলে অবশ্য অসুবিধে নেই।
• জুতো বাইরে খুলে ঘরে ঢুকবেন। পাঁচ জোড়া জুতো থাকলে এক-এক।দিন একেকটা পরতে পারেন। ষষ্ঠ দিনে আবার প্রথমটা পরবেন। কারণ ৫ দিন পর্যন্ত ভাইরাস লেগে থাকতে পারে জুতোয়। অত জুতো না থাকলে সাবান-জলে জুতো ধুয়ে তবে ঘরে ঢোকান। এরপর নির্দিষ্ট কা-বার্ড বা ঝোলায় ব্যাগ রেখে শৌচাগারে গিয়ে জামাকাপড়, চশমা সাবান-জলে ধুয়ে, তুলোয় স্যানিটাইজার ভিজিয়ে মোবাইল পরিষ্কার করে সাবান মেখে, শ্যাম্পু করে স্নান করবেন।