ওয়াশিং মেশিনে কী কী দেওয়া উচিত নয়? ছবি: সংগৃহীত
ওয়াশিং মেশিন অনেকেই ব্যবহার করেন। কিন্তু কারও হাতে যন্ত্র বেশি দিন টেকে, কারও হাতে কম। কাপড় কাচার যন্ত্রের আয়ু অনেকটাই নির্ভর করে ব্যবহারের উপর।
কী কী করলে, এবং কী কী না করলে এই যন্ত্রের আয়ু বাড়বে, রইল তেমনই কয়েকটি পরামর্শ।
পরিষ্কার রাখা: নিয়মিত এই যন্ত্র পরিষ্কার করা উচিত। ব্যবহার করার পর নরম কাপড় দিয়ে ভিতরটা মুছে দিলে ভাল হয়। তা ছাড়া কোথাও ময়লা জমলে নরম ব্রাশ দিয়ে ঘসে তুলে দেওয়া উচিত। মেশিনের ভিতরে ময়লা জমলে তার আয়ু কমতে থাকে।
ভেজা পোশাক সরিয়ে ফেলা: ভেজা পোশাক মেশিনের ভিতরে একেবারেই জমিয়ে রাখা উচিত নয়। তাতে যেমন জামাকাপড়ের ক্ষতি হয়, তেমনই ক্ষতি হয় যন্ত্রটিরও। জলের দাগ ধরে যায়। যন্ত্রটির আয়ু কমে। এখন নতুন প্রযুক্তির ‘স্মার্ট ওয়াশিং মেশিন’ এসেছে। এই ধরনের মেশিন নির্দিষ্ট অ্যাপের মারফত মোবাইল ফোনে জানিয়ে দেয়, কাচা হয়ে গিয়েছে কি না। ব্যবহারকারীকে জানাতে থাকে ভেজা কাপড় সরিয়ে নেওয়ার জন্য।
পকেট খালি করা: মেশিনে দেওয়ার আগে জামাকাপড়ের পকেট অবশ্যই খালি করে ফেলতে হবে। তার মধ্যে যদি পয়সা বা চাবির মতো ধাতব জিনিস থেকে যায়, তবে তা মেশিনের ক্ষতি করতে পারে।
বেশি সাবান নয়: বেশি সাবান কাপড় বেশি পরিষ্কার করবে, এমনটা নয়। বরং তাতে যন্ত্রে কাচা কাপড়ে জোলো গন্ধ হয়। শুধু তাই নয়, যন্ত্রটিরও ক্ষতি হয়। কারণ এতে অতিরিক্ত সাবান ধুতে যন্ত্রকে বেশি পরিশ্রম করতে হয়।
প্লাস্টিক বা রাবার থেকে সাবধান: মেশিনে কাপড় শুকনোর সময় তার সঙ্গে যেন প্লাস্টিক বা রাবারের কিছু না থাকে। এই যন্ত্রের ভিতরে বাষ্পের সাহায্যে কাপড় শুকানো হয়। ওই বাষ্পের তাপে প্লাস্টিক বা রাবারের জিনিস গলে যেতে পারে। সেগুলো যন্ত্রের গায়ে আটকে যেতে পারে। এগুলো ওয়াশিং মেশিনের আয়ু কমিয়ে দেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy