বামচামস-এর সঙ্গে ভালবাসার মরশুমকে স্বাগত জানান
গ্রীষ্মের কঠিন দাবদাহের পরে বর্ষার আগমণে যেন প্রাণ ফিরে পায় ধরিত্রী। প্রকৃতি ভরে ওঠে সোঁদা মাটির গন্ধে। ছোট ছোট বৃষ্টির ফোঁটা, মেঘের গর্জন, প্রেমে পড়ার অনুভূতি — আরও কত কী! বর্ষার ছোঁয়ায় প্রকৃতি সরস হয়ে ওঠে। শান্ত, স্নিগ্ধ, মলয় বাতাসে প্রকৃতি হয় স্নিগ্ধ। তবে এই সৌন্দর্যের মধ্যে কোথাও গিয়ে আমরা নিজেদের যত্ন নিতে ভুলে যাই। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই সমস্যার মুখে পড়তে হয়। তাই আর নয়। এই বর্ষা প্রাণভরে উপভোগ করুন বামচামস-এর সঙ্গে, স্রেফ কয়েকটি সহজ পদ্ধতি অনুসরণ করে।
ভরসা থাকুক রোগ প্রতিরোধক ফলে: বলা হয়, প্রতিদিন একটি আপেল খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। ভাল থাকে লিভার। আবার ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেলে শরীরের অনাক্রম্যতা বৃ্দ্ধি পায়। যেমন কমলালেবু, লেবু ইত্যাদি। মনে রাখবেন প্রতিটি ফলেই প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক ভিটামিন ও মিনারেল থাকে। যা কোনও ব্যক্তিকে ভিতর থেকে শক্তিশালী করে তোলে এবং সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।
শরীর আর্দ্র থাকুক: বর্ষার মরশুমে ডিহাইড্রেশন অত্যন্ত সাধারণ একটি ঘটনা। অতএব, সুস্থ থাকতে এবং ঋতুকালীন রোগ প্রতিরোধের জন্য বর্ষাকালে শরীর আর্দ্র রাখা অপরিহার্য। শুধুমাত্র জল নয়, শরীর আর্দ্র রাখতে কোনও ফলের স্মুদি বা লেবু জল খেতে পারেন। এতে শরীরে পুষ্টিরও অভাব হবে না। তা ছাড়া নিশ্চিত করুন যে বাড়ির ক্ষুদে সদস্যরা যেন ঢিলেঢালা, পাতলা এবং আরামদায়ক পোশাক পরে। যেমন টি-শার্ট এবং ক্যাপ্রিস ইত্যাদি। যা শরীরকে আরাম দেয়!
স্বাস্থ্যবিধির দিকে নজর দিন: বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে প্রতিনিয়ত মৌলিক স্বাস্থ্যকর পদ্ধতিগুলি মেনে চলা এবং সর্বদা ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা আবশ্যিক। বৃষ্টির দিনে বাইরে বের হলে, অবশ্যই ছাতা বা বর্ষাতি ব্যবহার করুন। ঘরে ফিরে স্নান করুন। সদ্য ভেজা শরীরকে গরম রাখতে চা বা কফি বা স্যুপজাতীয় কিছু পান করুন। খাবার খাওয়ার আগে ভাল করে হাত ধুয়ে নিন। এর পাশাপাশি, নিয়মিত আপনার শর্টসগুলি পরিবর্তন করুন। মনে রাখবেন, পরিষ্কার, স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখলে ভাল থাকবেন আপনিই!
পোশাকের দিয়ে অবশ্যই নজর দিন: বৃষ্টি মানেই রঙের মরশুম। এটাই তো রঙিন হয়ে ওঠার আদর্শ সময়। লাল, হলুদ কিংবা নীলের মতো আকর্ষণীয় রঙ বেছে নিন। যেমন উজ্জ্বল রঙের পোলো টি-শার্ট আপনাকে ভিড়ের মধ্যে আলাদা করে চিনিয়ে দেবে। আপনার শরীরকে হালকা করবে এবং আপনাকে তরুণ ও উদ্যমী দেখাবে। তবে, বৃষ্টির সময় সাদা এবং খুব উজ্জ্বল রঙের পোশাক পরা থেকে বিরত থাকুন। কারণ এগুলি সহজেই নোংরা হয়ে যায়।
সর্বদা জামাকাপড় ইস্ত্রি করে সাজিয়ে রাখুন: সাধারণত, বর্ষাকালে ছত্রাক বৃদ্ধি পায়! বৃষ্টি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাথরুম, ওয়ারড্রোব বা আলমারির মতো জায়গাগুলি খুব সহজেই স্যাঁতসেঁতে হতে থাকে। ফলে এই জায়গাগুলিতে রাখা জামাকাপড়গুলি থেকেও বোঁটকা গন্ধ বের হয়। যেহেতু বর্ষাকালে তেমন ভাবে সূর্যের আলো পাওয়া যায় না, তাই জামাকাপড়গুলি ইস্ত্রি করা অত্যন্ত প্রয়োজন। বামচামস-এর মতো উন্নতমানের পণ্যগুলির সঠিক যত্ন নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। তাই সময় পেলেই প্রিন্ট করা টি-শার্ট ইস্ত্রি করে নিন।
নিয়মিত শরীরচর্চা ও যোগব্যায়াম করুন: মনে রাখবেন যে কোনও ধরনের শরীরচর্চাই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বাড়িয়ে তোলে। একই সঙ্গে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত জরুরি। নিয়মিত শরীরচর্চা বা যোগচর্চা করলে, আপনার হৃদস্পন্দন বাড়ে, শরীরে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। এবং সেরোটোনিন(সুখী হরমোন) ক্ষরণ হয়। যা বাইরের ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শরীরকে শক্তিশালী করে। বৃষ্টির কারণে রোজের ওয়ার্কআউট সেশন ব্যহত হতে পারে। তাই বৃষ্টির দিনে বাড়িতেই বিভিন্ন যোগব্যায়াম বা শরীরচর্চার ব্যবস্থা করুন। সলিড টি-শার্ট হোক বা ক্যাপ্রিস যে কোনও আরামদায়ক পোশাকেই আপনি ব্যয়াম বা যোগচর্চা করতে পারেন।
সঙ্গে থাকুক বৃষ্টির সরঞ্জাম: বর্ষাকালে যে কোনও সময়ে বৃষ্টি হতে পারে। তাই বাইরে বের হলেই ছাতা, বর্ষাতি, জুতো ইত্যাদির মতো সরঞ্জাম সঙ্গে রাখুন। বিশেষ খেয়াল রাখুন জুতোর দিকে। এই সময় জুতো ও মোজার মধ্যে জল ঢুকে একটি অস্বাস্থ্যকর ও অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। বর্ষার জুতো বা রেইন বুট পা’কে শুকনো করে। এবং আপনিও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতে পারেন।
বৃষ্টিতে ভেজা নৈব নৈব চঃ: বৃষ্টির সময় এমন আবহাওয়া থাকে যে, হঠাৎ করে মনে হতেই পারে খানিকক্ষণ বৃষ্টিতে ভিজে নি। এই সময় বাইরের ধুলো, ময়লা ইত্যাদি আপনার ত্বক বা চুলের ভিতরে গিয়ে ক্ষতি করতে পারে। তাই বৃষ্টিতে ভেজা চলবে না। কোনওভাবে ভিজে গেলেও উষ্ণ জলে স্নান করুন। এর পরেও যদি মন চায়, খানিকক্ষণের জন্য ভিজতে পারেন। শর্টসের সঙ্গে উপভোগ করতে পারেন প্রতিটি বৃষ্টির ফোঁটা। তবে হ্যাঁ, তা যেন অবশ্যই সাময়িক হয়।
বর্ষা আসলে ভালবাসার সময়; প্রেমের সময়। তাই আসুন, এই ঋতুকে দু’হাত ভরে স্বাগত জানাই। বামচামস মনে করে এই ঋতু আসলে পৃথিবীর কাছে এক অপরূপ উপহার। এই ঋতু শুধু প্রকৃতিকে স্নিগ্ধ করে না, আমাদের মননেও প্রশান্তির বীজও বপণ করে।
এটি একটি স্পনসর্ড প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনটি ‘রূপা বামচামস’-এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy