টক দইয়ে গন্ধ হয়ে গেলে কী করবেন? ছবি: সংগৃহীত।
গরমে প্রায় রোজই টক দই খাচ্ছেন। তাই দোকান থেকে একসঙ্গে অনেকটা পরিমাণ টক দই কিনে রেখেছেন। কিন্তু এই গরমে ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে। ফ্রিজ বন্ধ থাকার কারণে দইয়ে কেমন যেন টক টক গন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই ধরনের দই খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে, সেই ভেবে ফেলে দেন অনেকেই। কিন্তু পুষ্টিবিদেরা বলছেন, টক দই বাসি হলে তার মধ্যে অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। সেই কারণেই টক গন্ধ বেরোয়। খেতে একটু বেশিই টক লাগে। রন্ধনশিল্পীরা কিন্তু এই ধরনের টক দই ফেলে দেন না। খাবার খাওয়ার পর শুধু মুখে টক গন্ধযুক্ত দই খেতে ভাল না-ও লাগতে পারে। কিন্তু রান্নার হরেক রকম কাজে তা ব্যবহার করা যায়।
১) মাংস ম্যারিনেট করতে
টক দই কয়েক দিন রাখলেই হালকা গন্ধ বেরোতে শুরু করে। কারণ, দই বাসি হলে তার মধ্যে অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। এই ধরনের দই কিন্তু ম্যারিনেশনের কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। বিভিন্ন রকম মশলার সঙ্গে বাসি টক দই দিয়ে ফাইবারযুক্ত মাংস ম্যারিনেট করে রাখলে, তা সহজে সেদ্ধ হয়। চিবোতে গেলেও খুব একটা কষ্ট হয় না।
২) প্যানকেকের মিশ্রণে
সকালের জলখাবারে প্যানকেক বানান প্রায়ই। প্যানকেক নরম, তুলতুলে করার জন্য কেকের মিশ্রণে অনেকেই বেকিং সোডা কিংবা বেকিং পাউডার দেন। তবে বাড়িতে যদি সেই সব জিনিস না থাকে, তা হলে ওই দিন দুয়েকের পুরনো টক দই ব্যবহার করতে পারেন। প্যানকেক মুখে দিলেই মিলিয়ে যাবে।
৩) স্মুদি বা লস্যিতে
পুরনো টক দই ফেলে না দিয়ে স্মুদি বা লস্যি তৈরিতে কাজে লাগাতে পারেন। সাধারণ টক দইয়ের চেয়ে বাসি টক দইয়ে প্রোবায়োটিকের পরিমাণ বেশি। তাই পেটের জন্য তা নিঃসন্দেহে ভাল। তা ছাড়া লস্যি বা স্মুদির ঘনত্ব বাড়িয়ে তুলতেও সাহায্য করে টক দই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy