Advertisement
E-Paper

খুদেকে রাতে ঘুম পাড়াতে হয়রানি, রোজের রুটিনে ৭টি বদল আনলেই হবে মুশকিল আসান

ঘুম কম হলে সন্তানের স্বাস্থ্যের ক্ষতি তো হয়ই, বাবা-মায়ের হয়রানিও বাড়ে। রাতে কম ঘুমোলে সকালে আর স্কুলে যেতে চায় না শিশু। আবার অসময়ে ঘুমিয়েও পড়ে। কাজেই সন্তানকে ঘুম পাড়ানো নিয়ে ঝক্কির শেষ নেই অভিভাবকদের। কী ভাবে করবেন মুশকিল আসান?

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২৫ ১৭:৪২
ঘুমপাড়ানি গানেও কাজ না হলে মেনে চলুন ৭ কৌশল।

ঘুমপাড়ানি গানেও কাজ না হলে মেনে চলুন ৭ কৌশল। ছবি: শাটারস্টক।

সারা দিন ধরে খুদের নানা দুষ্টুমির সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে শরীর এমনিতেই ক্লান্ত থাকে। তার উপরে ঘুম নিয়ে সে বায়না ধরলে বিরক্তির আর শেষ থাকে না। অনেক অভিভাবকই সন্তানকে রাতে ঘুম পাড়াতে রীতিমতো যুদ্ধ করেন। ঘুম পাড়াতে গেলেই তার যত কান্নাকাটি। ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় কোনও রকমে ঘুম পাড়ালেও খানিক পরেই আবার সে চোখ খুলে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে থাকে! এমন ঘটনাও ঘটে বহু বাড়িতে। ঘুম কম হলে সন্তানের স্বাস্থ্যের ক্ষতি তো হয়ই, বাবা-মায়ের হয়রানিও বাড়ে। রাতে কম ঘুমোলে সকালে সে আর স্কুলে যেতে চায় না। আবার অসময়ে ঘুমিয়েও পড়ে। কাজেই সন্তানকে ঘুম পাড়ানো নিয়ে ঝক্কির শেষ নেই অভিভাবকদের।

চিকিৎসকেরা বলেন, ১ থেকে ৩ বছরের শিশুর কম পক্ষে ১২ থেকে ১৩ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। ৩ থেকে ৬ বছরের শিশুর অন্তত ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা ঘুম দরকার। ৬ থেকে ১২ বছর পর্যন্ত রাতে ৯ থেকে ১০ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। কোন রুটিন মেনে চললে রাতে চটজলদি ঘুমিয়ে পড়বে খুদে, রইল হদিস।

১) ঠিক সময়ে ঘুমের অভ্যাস তৈরি করতেই হবে। যতই ব্যস্ততা থাকুক, সন্তানের ঘুমের সময়ের যেন কোনও হেরফের না ঘটে, সেটা খেয়াল রাখুন। ছুটির দিনগুলিতেও এই রুটিন মেনে চলতে হবে। খুদেকে নিয়ে যদি বাইরে ঘুরতে যান, সেখানেও একই নিয়ম মানার চেষ্টা করুন। নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমের অভ্যাস এক বার তৈরি হয়ে গেলে দেখবেন, ওই সময়েই সে ঘুমিয়ে পড়তে চাইছে।

২) এখনকার খুদেরা মোবাইল ঘাঁটতে ওস্তাদ। বিছানায় শোয়ানোর পরেও দেখবেন মোবাইল চাইছে। ঘুমোনোর অন্তত ঘণ্টা দুয়েক আগে থেকে টিভি, মোবাইল, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট থেকে সন্তানকে দূরে রাখতে চেষ্টা করুন। মোবাইল বা ল্যাপটপের আলো দীর্ঘ সময়ে চোখে পড়লে খুদের চোখের বারোটা তো বাজবেই, ঘুমেরও দফারফা হবে।

৩) ঘুমের পরিবেশ তৈরি করাও কিন্তু জরুরি। শিশুকে ঘুম পাড়ানোর সময়ে খেয়াল রাখবেন ঘরে যেন টিভি বা ল্যাপটপ না চলে। খুব জোরে গান, চড়া শব্দ যেন না থাকে। এতে ওদের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে। শিশুকে যে বিছানায় শোয়াবেন, তা যেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে। মাঝেমধ্যেই বিছানার চাদর বদলে দেবেন। ওর যে রং পছন্দ, সেই রঙের চাদর পাতার চেষ্টা করুন। ঘুম পাড়ানোর সময়ে মোবাইলে কার্টুন দেখাবেন না। বরং নিজেরা গল্প বলুন। এতে ওর কল্পনাশক্তির বিকাশ ঘটবে।

৪) ঘুমের সময়ে শিশু যেন কোনও রকম মানসিক চাপের মধ্যে না থাকে, সে দিকে খেয়াল রাখবেন। ঘুমের সময়ে আপনারা নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করবেন না। বাবা-মা ঝগড়া করলে তার প্রভাব শিশু মনে পড়ে। কখনও ঘুমোনোর আগে শিশুকে ভয়ের কোনও গল্প বলবেন না। ভয় দেখিয়ে ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করবেন না। এতে ওর মনে বিরূপ প্রভাব পড়বে।

৫) অনেক সময়ে দেখা যায়, বিশেষ কিছু শারীরিক সমস্যার জন্য শিশুদের ঘুম আসতে চায় না। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই ভাল। হাঁপানি থাকলে ঘুমের সময়ে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

৬) শিশুর খাওয়ার অভ্যেসে বদল আনুন। ঘুমোনোর আগে এক গ্লাস দুধ খাওয়াতেই পারেন। যদি শিশুর দুধ সহ্য না হয়, তা হলে জোর করে দেবেন না। রাতের খাবার হালকা হতে হবে। রাতে কোনও রকম তেলমশলা দেওয়া খাবার, বাইরের খাবার শিশুকে দেবেন না। ঘুমোনোর আগে আইসক্রিম, চকোলেট ড্রিঙ্ক বা কোনও রকম নরম পানীয়ও যেন শিশু না খায়।

৭) সারা দিনে শিশুর জন্য খেলার সময় রাখবেন। যদি বাইরে গিয়ে খেলতে পারে, তো খুব ভাল। না হলে বাড়িতেই খেলার ব্যবস্থা করুন। এতে শারীরিক পরিশ্রম হবে, শরীর ক্লান্ত থাকলে ঘুমও আসে সহজে। আর খেললে সামগ্রিক ভাবে স্বাস্থ্য-ও ভাল থাকবে।

Short Sleep
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy