বাঙালি হেঁশেলে ডিম না থাকলে হয়! সে দিন বাড়িতে মাছ, মাংস বা তেমন শাকসব্জি থাকে না, সেই দিন তো ডিমই ভরসা। ডিমের ডালনা, ডিমের ধোকা কিংবা ডিম পোস্ত না হলে কেবল ডিম-আলু সেদ্ধ দিয়েই এক থালা ভাত একেবারে সাফ করা যায়। মধ্যবিত্তের সংসারেও সস্তায় প্রোটিন খুঁজতে গেলেও থামতে হয় ডিমের কাছে। ডিম রান্না সহজ মনে হলেও একটা ঠিকঠাক সেদ্ধ ডিম কিংবা একটি ঠিকঠাক অমলেট বানানো কিন্তু মোটেই সহজ নয়। বড় বড় রন্ধনশিল্পীরাও এই একটা কাজে মাঝেমধ্যেই হোঁচট খান। ডিম রান্নার সময় অজান্তেই আমরা কিছু ভুল করে ফেলি, যা রান্নার স্বাদ একেবারে বিগড়ে দেয়। জেনে নিন সেগুলি কী কী।
১) কেক হোক বা কুকিজ়, বেকিং মানেই ডিমের প্রসঙ্গ উঠবে। বেকিংয়ের সময় ফ্রিজ থেকে বার করা ঠান্ডা ডিম ভুলেও ব্যবহার করবেন না। নইলে কিন্তু বেকিংয়ের পর কেক মোটেও নরম হবে না। বেকিংয়ের প্রস্তুতির বেশ কিছু ক্ষণ আগেই ফ্রিজ থেকে ডিম বার করে রাখুন, ঘরের তাপমাত্রায় এনে তবেই ব্যবহার করুন।
২) স্বাস্থ্য সচেতন অনেক মানুষই জলের মধ্যে ডিমের পোচ বানিয়ে খান। তবে বেশির ভাগ সময়ই সেই পোচের আকার বিগড়ে যায়। পোচ বানানোর সময় জলের মধ্যে সরাসরি ডিম ভেঙে না দিয়ে একটি বাটিতে ডিমটি আগে ভেঙে নিন। তার পর সাবধানে ওই ডিমটি ফুটন্ত জলে ঢেলে দিতে হবে।
৩) অল্প তেলে ডিমের অমলেট কিংবা পোঁচ রান্নার সময় কড়াইতে সেগুলি লেগে যায়। এগুলি রান্নার সময় ননস্টিক প্যান ব্যবহার করুন। ডিম সেদ্ধ করার সময় কানা উঁচু পাত্রের ব্যবহার করুন।
৪) ডিম সেদ্ধ করার সময় কত ক্ষণ ফোটাবেন তা ঠিক বুঝতে পারা যায় না। মোটামুটি সম্পূর্ণ সেদ্ধ ডিম চাইলে ১০ থেকে ১২ মিনিট ডিম সেদ্ধ করুন। তার পর গরম জলেই ডিমগুলি খানিক ক্ষণ রেখে দিন। ভাপেই সেগুলি সেদ্ধ হয়ে যাবে। বেশি ক্ষণ ধরে জলে ফোটালে কুসুমের স্বাদ বিগড়ে যায়।
৫) ডিম বেশি লাগে বলেই বাড়িতে ডজন ডজন ডিম কিনে রাখেন অনেকে। এই মরসুমে ফ্রিজে ভরে না রাখলে কিন্তু ডিমগুলি খারাপ হয়ে যায়। অনেক সময় রান্না করতে গিয়ে একটা ডিম পঁচা বেরিয়ে যায়। তাই বাজার থেকে কিনে আনার পর একটি বড় গভীর পাত্রে ডিমগুলি ডুবিয়ে রাখুন। যে ডিমগুলি জলের উপরে ভাসবে সেইগুলি আদতে পঁচা, ব্যবহার না করাই ভাল।