শীতকালে নানা রকম সব্জি বাজারে। তবে ছোটরা অনেক সময়েই শাকসব্জি খেতে চায় না। শরীরে যদি অন্য সমস্যা না থাকে তা হলে এই ঠান্ডার সময়ে পালং শাক খেতে বলেন চিকিৎসকেরা। পালং শাকে ভরপুর মাত্রায় থাকে ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এই শাক আয়রনে পরিপূর্ণ। কম ক্যালোরি এবং উচ্চ ফাইবারযুক্ত এই শাক হজমে সাহায্য করে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এই শাকের ঘণ্ট, চচ্চড়ি, পালং পনির কিংবা পালং শাক দিয়ে তৈরি পরোটা— বিভিন্ন কায়দায় হেঁশেলে ব্যবহার করা হয় এই পদ। ডায়েট করলেও এই শাক রাখা যায় রোজের ডায়েটে। পালং শাকে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও আয়রন, এই শাক খাওয়াও বেশ স্বাস্থ্যকর। কাজের সুবিধার জন্যে অনেকেই একবারে অনেকটা শাক কিনে, বেছে, ধুয়ে রেখে দেন ফ্রিজে। তবে খুব বেশি দিন ভাল থাকে না সেই শাক। সপ্তাহভর শাক টাটকা রাখতে চাইলে কয়েকটি কৌশল শিখে রাখতে পারেন।
১) শাক কেটে ভিজে তোয়ালের মধ্যে জড়িয়ে রাখতে পারেন। তবে শাক বাছার সময় খেয়াল করে পচা পাতাগুলো ফেলে দিতে হবে। না হলে পচা পাতার সঙ্গে ভাল পাতা রাখলে, তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ভেজা তোয়ালে জড়িয়ে শাক ফ্রিজ়েও রাখতে পারেন।
২) শাকের গোছা থেকে প্রথমে পচা পাতা বার করে ফেলে দিন। তার পর শাক কেটে টিস্যু পেপারে মুড়িয়ে রেখে বায়ুরোধী কাচের পাত্রের মধ্যে ভরে রাখতে পারেন। তবে কাগজে মুড়িয়ে রাখার আগে শাক কেটে ধোয়ার প্রয়োজন নেই। রান্না করার আগে ভাল করে ধুয়ে নিলেই হবে।
৩) এ ছাড়া শাক পরিষ্কার করে পাতাগুলি বেছে নিয়ে গরম জলে মিনিটখানেক রেখে আবার ঠান্ডা জলে ডুবিয়ে রাখুন। তার পর পাতাগুলি জল থেকে বার করে নিয়ে ভাল করে শুকিয়ে নিয়ে বায়ুরোধী কাচের পাত্রের মধ্যে ভরে রাখতে পারেন।