কী ভাবে মা হলেন বাবা? ছবি: শাটারস্টক।
অস্ত্রোপচার করিয়ে পুরুষ হওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন ইটালির মহিলা। কয়েক দিন পরেই জানতে পারলেন পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা তিনি। লিঙ্গ পরিবর্তনের একেবারে অন্তিম পর্যায়ের অস্ত্রোপচার অর্থাৎ স্তন বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়ায়ও হয়ে গিয়েছিল মার্কোর। শেষমেশ জরায়ু বাদ দেওয়ার জন্য ‘হিস্টেরেক্টমি’ প্রক্রিয়া করার সময় চিকিৎসকেরা জানতে পারলেন পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা তিনি।
রোমের একটি হাসপাতালে ‘হিস্টেরেক্টমির’ জন্য ভর্তি করানো হয়েছিল মার্কোকে। ইটালিতে এই ধরনের ঘটনা এই প্রথম বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরেও পুরুষ হওয়ার জন্য বেশ কিছু অস্ত্রোপচার ও হরমোনাল থেরাপির মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন মার্কো। আর সেই সব কারণে ভ্রুণের কোনও ক্ষতি হয়েছে কি না সেই নিয়েও চিন্তা প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকেরা। হাসপাতালের চিকিৎসকদের তরফে জানানো হয়েছে, রোগী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর জানতে পেরেই তাঁর হরমোন থেরাপি সবার আগে বন্ধ করা হয়েছে। প্রথম ত্রৈমাসিক ভ্রুণের অঙ্গ বিকাশের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ, এই থেরাপি বন্ধ না করা হলে শিশুর বিকলাঙ্গ হওয়ার ঝুঁকি অনেকখানি বেড়ে যেত।
ইতিমধ্যেই মার্কোর শরীরে পুরুষদের বৈশিষ্ট্য যেমন— দাড়ি, গায়ের লোমের আধিক্য দেখা দিতে শুরু করেছে। এরই মাঝে তাঁর শরীরে সন্তান বেড়ে ওঠার প্রক্রিয়া মার্কোর শরীরের উপরেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকেরা। এই ঘটনা নেটমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর চিকিৎসকেরা নানা রকম মন্তব্য করেছেন। অনেকে বলেছেন এখন মার্কোর শরীরে মহিলা হরমোন ও পুরুষ হরমোন— দুইয়েরই আধিক্য বেশি রয়েছে। কোনও মানুষের শরীরে এ রকম হলে তাঁর হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই মার্কোর শারীরিক অবস্থা নিয়ে বেশ চিন্তিত চিকিৎসকেরাও।
সব জানার পরে সন্তানকে পৃথিবীতে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মার্কো। ইটালির আইন অনুযায়ী, কোনও অন্তঃসত্ত্বা সন্তাধারণের ৯০ দিন পর আর গর্ভপাত করাতে পারেন না যদি না তাঁর শারীরিক অবস্থার অবন্নতি হয়। মার্কো ওই সন্তানের জন্মদাত্রী মা হলেও তিনি আইনি ভাবে ওই সন্তানের পিতার পরিচয় পাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy