দাঁতের গোড়া বা স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হলে জেরবার হতে পারেন যন্ত্রণায়।
সারা দিনে নিয়মমাফিক ব্রাশ ও খাওয়ার পরে কুলকুচি করে মুখ ধোওয়া— এর বাইরে দাঁতের যত্নে খুব একটা সময় দেওয়া হয় না। নিয়মিত দাঁতের খেয়াল রাখতে কিন্তু এই দুই বিষয় ছাড়াও আরও কিছু দিকের প্রতিও যত্নবান হতে হয়। দাঁত থাকতে সেই গুরুত্বটুকু আমরা সত্যিই বুঝি না।
দাঁতের ফাঁকে ঢুকে যাওয়া খাবারের টুকরো, খাবারে যুক্ত থাকা অতিরিক্ত চিনি, রাসায়নিক, প্রিজারভেটিভও দাঁতের ক্ষতি করে। দাঁতের ক্ষয় ও ছোপ পড়ার ক্ষেত্রে এর পাশাপাশি বিপদ হয়ে দাঁড়ায় তামাকজাত দ্রব্যও। কফির ক্যাফিনও অত্যধিক পরিমাণে খেলে দাঁতের ক্ষতি হয়।
দন্তবিশেষজ্ঞ আবির কুমার মুখোপাধ্যায়ের মতে, ‘‘দাঁত গঠনগত ভাবেই সমতল নয়। নানা ভাঁজ, ফাঁক থাকে এতে। বিভিন্ন রকমের খাবারের কারণে এই ভাঁজ ও ফাঁকগুলো যেমন ভরাট হতে থাকে খাবারের কণায়, তেমনই এ সব খাবার থেকেই দাঁতের উপরে একটি পাতলা আঠালো স্তর তৈরি হয়। খুব ভাল করে ব্রাশ করার পাশাপাশি তিন-চার মাস অন্তর চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াও তাই খুব জরুরি। নইলে এই ধরনের স্তর সহজে দাঁতের উপর থেকে সরে না। তাই স্রেফ ব্রাশ করা বা মুখ ধোওয়ার নিয়ম মানাই নয়, নিয়মিত ওরাল হাইজিন মেনে চলাও খুব জরুরি।’’
দাঁতের কোনও ক্রনিক অসুখ থাকলে তো বটেই, তা ছাড়াও ওরাল হাইজিন না মানার কারণেও মাঝে মাঝেই দাঁতে ব্যথা হতে পারে। দাঁতের গোড়া বা স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হলে এই ধরনের ব্যথাগুলো শুরু হয়। এমন দাঁতের ব্যথা মাথা যন্ত্রণা, চোখের ব্যথাও ডেকে আনে। সাধারণত দাঁতের কোনও সমস্যা বা ব্যথাতে আমরা দন্তচিকিৎসকের শরণ নিয়ে থাকি। কিন্তু সবসময় ও সব রকমের পরিস্থিতিতে যে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়, এমনও নয়। সে ক্ষেত্রে ঘরোয়া উপায়েও দাঁতের যন্ত্রণাও কিন্তু কিছুটা কমিয়ে দেওয়া যায়। নারকেল তেল ও লবঙ্গ এই ধরনের ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে খুবই উপযোগী।
নারকেল তেলের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান ও লবঙ্গে থাকা ইউজিনল দাঁতের ব্যথা কমাতে বিশেষ কাজে আসে। কিন্তু কী ভাবে ব্যবহার করবেন এই দুই উপাদান?
লবঙ্গের গুঁড়ো ও নারকেল তেল ভাল ভাবে মিশিয়ে ব্রাশের সাহায্যে ব্যথার অংশে লাগান। দিনে অন্তত চার বার এই মিশ্রণ আক্রান্ত স্থানে লাগালে উপকার মেলে অনেকটা। তবে সাময়িক ভাবে ব্যথা কমাতে পারলেও দাঁতের সার্বিক যত্ন ও অসুখের জন্য এটাই চূড়ান্ত উপায় নয়। বরং খানিক উপশম পেয়ে সময়-সুযোগ বুঝে চিকিৎসার জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy