রান্না একটু সময় নিয়ে, রসিয়ে না করলে কি আর স্বাদ হয়! কিন্তু সকালে সেই সময়টাই থাকে না। কর্মরতা মহিলারা বিলক্ষণ জানেন, এখনকার ব্যস্ত সময়ে অফিস আর হেঁশেল একসঙ্গে সামলানো কতটা ঝক্কির! সকালের জলখাবার বানানো, দুপুরের খাবার তৈরি করে রাখা তো আছেই। বাড়িতে শিশু থাকলে তার জন্যও আলাদা কিছু ভাবতে হয়। তার উপরে রোজ একঘেয়ে খাওয়া কারওরই ভাল লাগবে না। সেখানেও ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বিভিন্ন রকম রান্না তো আছেই। আবার সবটা একা হাতে করতে গিয়ে অফিসের দেরিও হয়ে যায়। তাই সহজ কিছু কৌশল জানা থাকলে, রান্না হবে চটজলদি, প্রতিটা পদও হবে সুস্বাদু, আবার রান্না সেরে হাতে কিছুটা সময়ও পাওয়া যাবে।
ঝটপট সুস্বাদু রান্না করার কিছু টিপ্স রইল
সকালে উঠে কী কী রাঁধবেন, কত জনের জন্য রান্না হবে, কার জন্য কী রান্না হবে সবটাই ভেবে রাখুন আগের দিন রাতেই। আলাদা রকম কোনও পদ রাঁধতে চাইলে তার রেসিপি ঠিক করে রাখুন। সকালে উঠে এই সব ভাবতে বসলে অনেকটা সময় চলে যাবে।
কী কী রান্না হবে, ভেবে নিলে সেই অনুযায়ী প্রস্তুতিও সেরে রাখা যায়। যে সব সব্জি দিয়ে পদ হবে, সেগুলো কেটে, ধুয়ে রাখুন আগে থেকেই। শাকপাতা রাঁধতে হলে রাতেই কুচিয়ে নিয়ে নুন-জলে ধুয়ে, জল শুকিয়ে এয়ার টাইট ব্যাগে রেখে দিন। সব্জিও কেটে, ধুয়ে এয়ার টাইট ব্যাগে আলাদা আলাদা করে রাখুন। আদা-রসুন কেটে আলাদা আলাদা পাত্রে রেখে দিন। এতে কাজ সহজ হবে।
আরও পড়ুন:
আদা, রসুন বা পেঁয়াজ কেটে, ছাড়িয়ে, বাটতে সময় লাগে। এই কাজ আগের দিন রাতেই সেরে রাখতে পারেন।
যতখানি সম্ভব ঢাকনা দিয়ে রান্না করুন। এতে সময় কম লাগবে, খাবারের পুষ্টিগুণও বজায় থাকবে।
ডাল রাঁধতে হলে তা আগের দিন রাতেই সেদ্ধ করে রাখুন। সকালে ফোড়ন দিয়ে নামিয়ে নিলেই সময় বাঁচবে।
মাছ বা মাংস ম্যারিনেট করে মুখ ঢাকা পাত্রে রেখে দিন। তা আর ডিপ ফ্রিজে ঢোকাবেন না। তা হলেই সকালে সময় বেশি লাগবে না।
রান্না শুরু করার সময়েই চাল ভিজিয়ে রাখুন। চাল কিছু ক্ষণ ভিজে থাকলে ভাত তাড়াতাড়ি হবে। ভাত রান্নার সময়ে এক চা চামচ রান্নার তেল মিশিয়ে দিলেও সুফল পাবেন। এতে ভাত গায়ে গায়ে লেগে যাবে না। ঝরঝরে থাকবে।