Advertisement
E-Paper

রোগী মৃত্যু, উত্তেজনা ঘাটাল হাসপাতালে

রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ফের উত্তেজনা ছড়াল ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে। ভাঙচুর করা হল হাসপাতাল ভবনে এবং চত্বরে থাকা একাধিক অ্যাম্বুল্যান্সেও। ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের এই ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন সুপার। জানা গিয়েছে দিন কয়েক আগে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় দাসপুর জ্যোতকানুরামগড়ের বাসিন্দা মানোয়ারা খাতুনকে (৬৫)।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০১৫ ০০:৫৫
ভাঙচুরের পর। হাসপাতালে তোলা নিজস্ব চিত্র।

ভাঙচুরের পর। হাসপাতালে তোলা নিজস্ব চিত্র।

রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ফের উত্তেজনা ছড়াল ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে। ভাঙচুর করা হল হাসপাতাল ভবনে এবং চত্বরে থাকা একাধিক অ্যাম্বুল্যান্সেও। ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের এই ঘটনায় পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন সুপার।

জানা গিয়েছে দিন কয়েক আগে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় দাসপুর জ্যোতকানুরামগড়ের বাসিন্দা মানোয়ারা খাতুনকে (৬৫)। তিনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন। কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় চিকিৎসকরা তাঁকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সেই মতো মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালের ক্যাম্পাসের একটি প্রিপেড অ্যাম্বুলেন্সে ভাড়া করেন পরিজনেরা। কিন্তু অ্যাম্বুল্যান্সে তোলার পরই মৃত্যু হয় মানোয়ারা বিবির।

পরিবারের অভিযোগ অ্যাম্বুল্যান্সে তোলার সময় ঠিকমতো অক্সিজেন দেওয়া হয়নি। তাতেই মৃত্যু হয়েছে মানোয়ারা বিবির। এরপরেই উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে। মৃতার গ্রাম থেকে বহু মানুষ এসে জড়ো হন। ভাঙচুর করা হয় হাসপাতালে এবং প্রিপেড অ্যাম্বুল্যান্সগুলিতে।

ঘন্টা চারেক পরে ঘাটাল থানার ওসি সুদীপ ঘোষালের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী পরিস্থিতির সামাল দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্ত করতে রাজি হননি মৃতার আত্মীয়েরা। রাতেই দেহটিকে নিয়ে বাড়ি চলে যান। তবে থানায় কোনও অভিযোগও দায়ের করেননি তাঁরা।

বুধবার সকালেই হাসপাতালের তরফে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। হাসপাতাল সুপার অনুরাধা দেব বলেন, “অ্যাম্বুল্যান্সে ভাঙচুর চালানো এবং হাসপাতালে সরকারি সম্পত্তি নষ্টের জন্য একটি মামলা করা হয়েছে।” এ দিকে অ্যাম্বুল্যান্সে ভাঙচুর চালানোর ঘটনায় নিরাপত্তা ও তদন্তের দাবি তুলে এ দিন পরিষেবা বন্ধ রাখেন চালকরা। ফলে বহু রোগী পরিষেবা পাননি। অ্যাম্বুল্যান্স মালিকদের পক্ষ থেকে সুশান্ত মার্গুল বলেন, “অ্যাম্বুলেন্সে তোলার পরই অক্সিজেন দেওয়া হয়েছিল। প্রশাসনের সিদ্ধান্তেই লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে অ্যাম্বুল্যান্স কিনে ব্যাবসা করছি। পুলিশ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা না নিলে পরিষেবা বন্ধ করে দেব।’’ প্রসঙ্গত মহকুমা প্রশাসন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই সম্প্রতি প্রিপেড অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা চালু করেছে।

প্রতারণার নালিশ, ধৃত। প্রতারণার অভিযোগে একটি অর্থলগ্নি সংস্থার এক কর্তাকে গ্রেফতার করল রাজারহাট থানার পুলিশ। ধৃতের নাম সুভাষচন্দ্র দাস। তিনি বারাসতের বাসিন্দা। কসবাতেও তাঁর বাড়ি রয়েছে। বিধাননগর কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার (গোয়েন্দা শাখা) কঙ্করপ্রসাদ বারুই জানান, ধৃত ব্যক্তি ‘টোগো রিটেল মার্কেটিং’ নামে একটি অর্থলগ্নি সংস্থার ম্যানেজার। কলকাতা ছাড়াও রাজ্য ও দেশের অনেক জায়গায় তাদের ব্যবসা ছিল। টাকা ফেরত না দেওয়ায় সংস্থাটির এক মহিলা এজেন্ট রাজারহাট থানায় ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতেই ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই সংস্থার আরও কয়েক জনের বিরুদ্ধে বাগুইআটি থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। তদন্তকারীরা জানান, ওই সংস্থার বিরুদ্ধে দু’টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ৬৩ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়েছে রাজারহাট থানায়। আর বাগুইআটি থানায় ৭৩ লক্ষ টাকা প্রতারণার মামলা দায়ের হয়েছে। ২০০৮-’০৯ সাল থেকে টাকা তুলেছিল সংস্থাটি। মেয়াদ ফুরোনোর পরে টাকা ফেরতের জন্য গ্রাহকদের চাপ আসতে থাকে। কিন্তু সংস্থা টাকা ফেরত না দেওয়ায় শেষ পর্যন্ত সংস্থার এজেন্টরাই পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মঙ্গলবার ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Vandalism Ghatal Hospital Anuradha Deb Ambulance Manoara Khatun
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy