রক্ত দেওয়াকে কেন্দ্র করে ব্লাডব্যাঙ্কে ভাঙচুর চালাল এবং এক কর্মীকে মারধর করল রোগীর আত্মীয় পরিজনরা। বুধবার বিকালে ঘটনাটি ঘটে রামপুরহাট হাসপাতালে। সুপার রামপুরহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও ঘটনায় এখনও কেউ আটক বা গ্রেফতার হয়নি।
রামপুরহাট হাসপাতালের সুপার সুবোধকুমার মণ্ডল জানান, রক্তাল্পতা নিয়ে একজন রোগী এ দিন সকালে হাসপাতালে ভর্তি হয়। রোগীকে পরীক্ষা করে কর্তব্যরত চিকিত্সক দু’ বোতল রক্ত প্রয়োজন আছে বলে জানিয়ে দেয়। রোগীর আত্মীয় পরিজন হাসপাতালের ব্লাডব্যাঙ্কে এসে এক বোতল রক্ত এক্সচেঞ্জ করে নিয়ে যায়। সুবোধবাবুর দাবি, “ওই এক বোতল রক্ত রোগীর শরীরে প্রবেশ করার আগেই তাঁর আত্মীয়-পরিজন ব্লাডব্যাঙ্কে এসে আর এক বোতল রক্ত কাগজ পত্র ছাড়া দেওয়ার জন্য দাবি করে। এতে এক কর্মী আপত্তি জানালে রোগীর আত্মীয় পরিজন ওই কর্মীকে গালি গালাজ করে যথেচ্ছ ভাবে। মারধর করে।”
হাসপাতাল সূত্রে খবর, ব্লাডব্যাঙ্কের ভিতরে থাকা রক্তের নমুনা পরীক্ষা করার প্রয়োজনীয় সরঞ্জামও উলটে ফেলে দেয় তারা। পাশাপাশি বিভিন্ন রোগীর সংগ্রহিত রক্তের নমুনাগুলিও ফেলে দেয়। এ দিন ব্লাডব্যাঙ্কে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের চেয়ার, টেবিল ওল্টানো। বিভিন্ন কাগজপত্র এলোপাথাড়ি ছড়ানো। মেঝেতে ছড়িয়ে আছে রক্তের নমুনা সংগ্রহের সরঞ্জাম। মাটিতে পড়ে আছে রক্ত।
আক্রান্ত ব্লাডব্যাঙ্কের কর্মী সৌরভ ঘোষ বলেন, “এক বোতল রক্ত এক্সচেঞ্জ করে দেওয়া হয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই রোগীর আত্মীয় পরিজন আর এক বোতল রক্তের জন্য দাবি করে। এর মধ্যেই ওদের তিন জন আমাকে গালিগালাজ করতে থাকে। এবং আমি কিছু বুঝে উঠতেই মারধর করতে থাকে। ব্লাডব্যাঙ্কের ভিতর ঢুকে টেবিল চেয়ার উল্টে দেয়। ভাঙচুড় চালিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর বিষয়টি সুপারকে জানাই।”
এ দিকে রক্তাল্পতা নিয়ে হাসপাতালের পুরুষ বিভাগের ভর্তি থাকা নলহাটি থানার শেরগ্রামের বাসিন্দা ৬৩ বছর বৃদ্ধ নজরুল ইসলামের ছেলে সাদিরুল ইসলাম বলেন, “যখন ভাঙচর হয়, তখন আমি বাইরে খেতে গিয়েছিলাম। কখন কীভাবে যে এই ঘটনা ঘটেছে, আমার জানা নেই। তবে এই ধরণের কাণ্ড আমি থাকলে কোনওভাবেই হতে দিতাম না। ”