হ্যারি মাটাডিন।
এক মাস ধরে একটি পাত্রে জমিয়ে রাখেন নিজের মূত্র। তার পর তা পান করেন।
ব্রিটেনের যুবক হ্যারি মাটাডিনের দাবি, এই অভ্যাস তাঁর মানসিক অবসাদ কমায়। সেই মূত্র দিয়ে রোজ মুখ ধুয়ে নিলে বয়সের ছাপও পড়ে না চেহারায়।
হ্যারির বয়স ৩৪। এমনিতে তিনি ভিগান। প্রাণিজ কোনও জিনিস খাওয়ায় বিশ্বাসী নন। তাঁর দাবি, গত ছ’বছর ধরে এ ভাবেই মূত্র পান করছেন তিনি। প্রতি দিন ঘুম থেকে উঠেই ২০০ মিলিলিটার মূত্র পান করেন। ঠিক মেপে মেপে।
মূত্র পানের উপকার সম্পর্কে হ্যারি জানলেন কোথা থেকে? কেউ কি পরামর্শ দিয়েছিলেন তাঁকে?
হ্যারির বক্তব্য, কোথাও মূত্র পান করার উপকারিতা সম্পর্কে পড়েছিলেন তিনি। তার পর ঠিক করেন নিজেও এই অভ্যাস করবেন। যদিও চিকিৎসকদের একটি বড় অংশ মনে করে, ‘ইউরিন থেরাপি’র উপকারিতার কোনও প্রমাণ নেই। অনেকে বলেন, প্রাচীন মিশরে এ ভাবে বিভিন্ন রোগ সারানো হত। কিন্তু চিকিৎসকদের বক্তব্য, মূত্র পান করলে শরীরে অনেক ধরনের ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া প্রবেশ করে।
হ্যারির দাবি, অবশ্য একেবারেই অন্য রকম। মূত্র পান করতে শুরু করার পর থেকে মানসিক ভাবে অনেক শান্ত এবং আরামে আছেন বলেই দাবি হ্যারির। তিনি বলেন, ‘‘আমি ভাবতেও পারিনি এতটা উপকার পাব নিজের মূত্র পান করে। যখন থেকে এই থেরাপি করছি, তখন থেকে আমার সব অবসাদ একেবারে উধাও হয়েছে। রোজ তা দিয়ে মুখ ধোয়ার ফলে আমাকে বয়সের চেয়ে প্রায় বছর দশেক ছোট দেখায় এখন।’’
হ্যারির পরিচিত সকলে কি তাঁর এই অভ্যাসের কথা জানেন?
পরিবার থেকে বন্ধু, জানেন সকলেই। কারণ মূত্র পান করার অভ্যাসের উরপকারিতা সম্পর্কে নানা জায়গায় লেখালেখি করেছেন তিনি। এক সময়ে তিনি এমনও দাবি করেছিলেন যে, নিয়মিত মূত্র পান করলে অ্যালঝাইমার্স, ডিমেনশিয়া থেকে হার্টের অসুখ— সব কমে যেতে পারে। তবে তাঁর এই ধারণার সঙ্গে একমত নন পরিবারের সদস্যরাও। হ্যারি জানান, এই অভ্যাসের কথা জানার পর থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করেছেন নিজের বোন। বলেন, ‘‘এখন আমি নিজের বন্ধুদের বেছে নিই। আমার সকল বন্ধু হয় ইউরিন থেরাপি চালান। না হলেও তাতে বিশ্বাস রাখেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy