কী আছে এই সিগারেটে, যার কারণে এটি এত ক্ষতিকারক হয়ে উঠেছে?
মেন্থল জাতীয় সিগারেটের ফিল্টারে এক ধরনের বিশেষ রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। সেটি ধোঁয়ার সঙ্গে মুখে, গলায় এবং ফুসফুসে গেলে ঠান্ডা ভাব অনুভূত হয়। আর এটিই যত সমস্যার কারণ।
‘সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’-এর সমীক্ষা বলছে, কমবয়সিদের বা যাঁরা সদ্য ধূমপান করতে শুরু করেছেন, তাঁদের মধ্যে মেন্থল জাতীয় সিগারেট খাওয়ার আগ্রহ বেশি। শুধুমাত্র আমেরিকায় সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, ১৮ বছরের কমবয়সিদের মধ্যে যারা ধূমপানে আসক্ত হয়ে পড়েছে, তাদেরও এই আসক্তির বড় কারণ মেন্থল সিগারেটের স্বাদ। সমীক্ষায় দেখানো হয়েছে, সারা পৃথিবীতেই ৩০ বছরের কম বয়সের ধূমপায়ীদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি (প্রায় ৫৪ শতাংশ) পছন্দ করেন এই মেন্থল সিগারেট। এবং ধূমপান ছাড়তে না পারার কারণও এটি।
কেন এই সিগারেটকে বেশি ক্ষতিকারক বলা হচ্ছে?
দেখা গিয়েছে, এই সিগারেটে থাকা মেন্থলের প্রভাবে মুখ, গলা এবং ফুসফুসে ঠান্ডা ভাব অনুভূত হয় বলে ধোঁয়া ভিতরে ধরে রাখার প্রবণতা বাড়ে। কারণ তাতে এক ধরনের আরাম পাওয়া যায়। বাড়ে লম্বা লম্বা টান মারার প্রবণতাও। প্রথমত, ধোঁয়া বেশি ক্ষণ ভিতরে ধরে রাখলে শরীর বেশি মাত্রায় নিকোটিন গ্রহণ করে। তাতে রক্তচাপ বাড়ে। দ্বিতীয়ত, যাঁরা যত লম্বা টান মারেন, তাঁদের সিগারেটে আসক্তি তত বাড়ে এবং এটি ছাড়া কঠিন হয়ে পড়ে।
চিকিৎসকদের দাবি, মেন্থল সিগারেট সাধারণ সিগারেটের তুলনায় শুধুমাত্র রক্তচাপ বা হৃদ্রোগের আশঙ্কাই বাড়িয়ে দেয় না, একই সঙ্গে ক্যানসারের মতো অসুখের আশঙ্কাও বাড়িয়ে দেয়।