বাঁ দিকে, জমে নোংরা জল। ডান দিকে, নর্দমা ঢাকা পড়েছে তুলো, ব্যান্ডেজে। ছবি: বিকাশ মশান।
ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গির মতো রোগ যাতে না ছড়ায় সে জন্য জেলা জুড়ে লিফলেট বিলি করে সচেতনতা বাড়ানোয় উদ্যোগী হয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তাতে। জ্বর হলেই দেরি না করে চলে আসতে বলা হয়েছে হাসপাতালে। জ্বরের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে খোলা হয়েছে আলাদা ক্লিনিক। অথচ, এই হাসপাতালের চার পাশেই পড়ে রয়েছে আবর্জনা। নোংরা জলে ভরা চৌবাচ্চায় জমেছে শ্যাওলা। সেখান থেকেই রোগ-জীবাণু ছড়াতে পারে বলে অভিযোগ হাসপাতালে আসা রোগীর পরিজনদের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আশ্বাস, শীঘ্র হাসপাতাল চত্বর সাফসুতরো করে ফেলা হবে।
দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছর মহকুমা জুড়ে জ্বরের প্রকোপ দেখা দেওয়ায় জ্বরে আক্রান্তদের জন্য আলাদা ক্লিনিক খোলা হয়েছে। এ বছর রাজ্যের নানা জায়গায় এনসেফ্যালাইটিসের প্রকোপ দেখা দেওয়ার কারণেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার হাত থেকে বাঁচতে কী কী করা প্রয়োজন, সে বিষয়ে লিফলেটও বিলি করা হচ্ছে। কিন্তু, এত সবের পরেও হাসপাতাল চত্বরেই কোথাও আগাছায় ভরে, কোথাও জমে রয়েছে নোংরা জল। নিকাশি নালার পাশে পড়ে রয়েছে রক্তমাখা তুলো। এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন রোগীর আত্মীয়েরা। তাঁদের অভিযোগ, স্বাস্থ্য দফতরের তরফে যখন মশাবাহিত রোগ থেকে বাঁচতে ঘরদোর পরিষ্কার রাখার কথা প্রচার করা হচ্ছে, তখন হাসপাতাল চত্বরই অপরিচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে।
শহরবাসীর অভিযোগ, এলাকায় বেশ কয়েক জনের ম্যালেরিয়ার জীবাণু ধরা পড়েছে। গত বছর ডেঙ্গিরও প্রকোপ দেখা দিয়েছিল। দুর্গাপুরের এমএএমসি কলোনির বাসিন্দা স্বদেশ সাহা অভিযোগ করেন, ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া থেকে বাঁচতে চারদিকে প্রচার করা হচ্ছে। অথচ, মহকুমা হাসপাতালের চত্বরেই এমন সব জায়গা আছে যেখানে অনায়াসে মশা বংশবৃদ্ধি করতে পারে। কাঁকসা থেকে হাসপাতালে এসেছিলেন দেবাশিস রায়। তিনি বলেন, “হাসপাতাল চত্বরেরই যদি এমন হাল হয় তবে রোগীরা কোথায় সুরক্ষিত থাকবে।”
হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, এসএনসিইউ বিভাগের পিছনে একটি বড় চৌবাচ্চা রয়েছে। সেখানে জমা জলে আগাছা জন্মেছে। আর একটি চৌবাচ্চায় জলের উপরে গাছের পাতা পড়ে পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। হাসপাতাল চত্বরের অনেকাংশেই আগাছায় ভরা। হাসপাতালের নিকাশি নালার উপরে পড়ে রয়েছে রোগীদের ব্যবহৃত তুলো, ব্যান্ডেজ। ফলে, ওই নালা দিয়ে জল যাচ্ছে না। হাসপাতালের সুপার দেবব্রত দাসের অবশ্য দাবি, প্রতি দিন তুলো, ব্যান্ডেজের মতো জিনিসগুলি সময় মতো পরিষ্কার করা হয়। আগাছাও নিয়মিত সাফ করা হয়। তিনি বলেন, “যদি কোথাও জল জমে থাকে বা নোংরা থাকে, সেগুলি শীঘ্র পরিষ্কার করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy