তালা ঝুলছে শিতলগ্রাম স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। —নিজস্ব চিত্র
হাসপাতালে মাত্র একজন চিকিৎসক। এক বছরের বেশি সময় ধরে তিনিও নেই। একজন নার্স ও একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মীকেও সব দিন পাওয়া যায় না। এই অবস্থায় একজন ফার্মাসিস্টের ভরসায় চলছে নলহাটি ২ ব্লকের শিতলগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। দিন দিন পর পরিষেবা না পেয়ে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা শুক্রবার তালা ঝুলিয়ে দেন। দুপুর ২টোর পরে নলহাটি থানা থেকে পুলিশ গিয়ে হাসপাতালের তালা খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করে। গ্রামবাসীদের বিক্ষোভে দীর্ঘক্ষণ আটকে পড়েন নলহাটি ২ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক মানোয়ার হোসেন। গ্রামবাসী আশিস সিংহের ক্ষোভ, “বৃহস্পতিবার গ্রামে দু’টি দুর্ঘটনা ঘটে। তার মধ্যে একজন শিশুর গায়ে মিড-ডে মিলের গরম খিচুড়ি পড়ে যায়। আর একজন বালক পড়ে গিয়ে জখম হয়। কিন্তু গ্রামের হাসপাতালে চিকিৎসক না থাকায় তাদের অন্যত্র নিয়ে যেতে হয়। গ্রামের হাসপাতালে চিকিৎসক থাকলে এমন অসুবিধার মধ্যে পড়তে হত না। তা ছাড়া, পঞ্চায়েতে বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন খাতে দেওয়া অ্যাম্বুল্যান্স খারাপ হয়ে পড়ে আছে। রোগীদের বাইরে নিয়ে যেতে সমস্যা হচ্ছে।”
নলহাটি ২ ব্লকের ভারপ্রাপ্ত বিএমওএইচ মানোয়ার হোসেন বলেন, “শিতলগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একজন চিকিৎসক ছিলেন। এক বছর আগে ওই চিকিৎসক উচ্চশিক্ষার জন্য কাজ ছেড়ে দিয়েছেন। তারপর থেকে এখানে চিকিৎসক নিয়োগ হয়নি। নার্স ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদের জন্য আবাসন না থাকায় দু’টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তাঁদের তিন দিন তিন দিন করে কাজ করতে হয়। বাসিন্দাদের দাবির ব্যাপারে সিএমওএইচকে জানানো হয়েছে।”
ক্ষুব্ধ বিজেপি। স্কুল চলাকালীন স্কুলের ৫০ মিটার দূরত্বে মাইক বাজিয়ে বীরভূম জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্ক খোলার দাবিতে বিজেপির প্রতীকী অনশন মঞ্চে সভা চলছিল। খবর পেয়ে মাইক বাজানো বন্ধ করে দিলেন রামপুরহাট মহকুমা শাসক উমাশঙ্কর এস। তিনি বলেন, “আমার কাছে বিজেপি দলের পক্ষ থেকে অনশন মঞ্চের জন্য লিখিত ভাবে জানিয়েছিল। মাইক বাজানো হবে কিনা জানায়নি। পরে জানতে পেরে মাইক বাজানো বন্ধ করে দিয়েছি।” বিজেপির পক্ষ থেকে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, এই রকম ভাবে মাইক বাজিয়ে সভা অনেক হয়। সে ক্ষেত্রে প্রশাসনের টনক নড়ে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy