বর্ধমান মেডিক্যালে মৃতের আত্মীয় ও পুলিশের মধ্যে চলছে ধস্তাধস্তি। নিজস্ব চিত্র।
রোগীমৃত্যুতে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে চিকিৎসদের মারধর, হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পরে পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমানে লোকের কাছে ট্রাফিক কলোনি এলাকার বাড়িতে সোমবার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন মহম্মদ হায়দর (৩৭) নামে এক ব্যক্তি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় তাঁর। এরপরেই নার্স ও ডাক্তারদের বিরুদ্ধে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে ভাঙচুর শুরু করেন রোগীর পরিবারের লোকজন। তাঁদের অভিযোগ, জরুরি বিভাগে নিয়ে আসার পরেও চিকিৎসকেরা যথাযথ চিকিৎসা করেননি। চিকিৎসক ও নার্সেরা বারবার বোঝানো সত্ত্বেও ভাঙচুর চালাতে থাকেন তাঁরা। মারধর করা হয় সুব্রত সেনগুপ্ত নামে এক প্রবীণ চিকিৎসককেও। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন জুনিয়র ডাক্তারেরাও। এছাড়াও হাসপাতালের ফাঁড়িতে কর্তব্যরত পুলিশকর্মী ও মেডিক্যাল কলেজের চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদেরও চড়া, থাপ্পর মারা হয় বলে অভিযোগ।
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার উৎপল দাঁ বলেন, “বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করার পরেও তাঁর বাড়ির লোক দাবি করচে থাকেন, রোগী জীবিত। চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগও তোলেন তাঁরা। বারবার বাধা দেওয়া সত্ত্বেও হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসক, কর্মীও পুলিশকে মারধর করেন তাঁরা। জরুরি বিভাগের ওয়ার্ডে ভাঙচুরও চালান।” বর্ধমানের আইসি আব্দুল গফফর বলেন, “অভিযুক্তদের মধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাপ্পু আহমেদ নামে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতারও নাম রয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। তদন্তে দোষি প্রমাণিত হলে পুলিশ অবশ্যই ওই নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy