Advertisement
E-Paper

চিকিৎসক, কর্মীর অভাবে ভোগান্তি

পর্যাপ্ত চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্য কর্মীর অভাবে ধুঁকছে উদয়নারায়ণপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল। বহির্বিভাগে প্রতিদিনই চাপ বাড়লেও হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়নের কোনও উদ্যোগ চোখে পড়ে না। তৃণমূল সরকারের তিন বছর কেটে গেলেও প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাড়ল না বেডের সংখ্যা, অভাব রয়েছে হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী এবং চিকিৎসকেরও।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৪ ০২:২৬
ঝাঁ চকচকে ভবন

ঝাঁ চকচকে ভবন

পর্যাপ্ত চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্য কর্মীর অভাবে ধুঁকছে উদয়নারায়ণপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল। বহির্বিভাগে প্রতিদিনই চাপ বাড়লেও হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়নের কোনও উদ্যোগ চোখে পড়ে না। তৃণমূল সরকারের তিন বছর কেটে গেলেও প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাড়ল না বেডের সংখ্যা, অভাব রয়েছে হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী এবং চিকিৎসকেরও। উল্টে চিকিৎসকের অভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে কিছু ইউনিট। এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।

স্থানীয় বাসিন্দা ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, উদয়নারায়ণপুর ব্লক, জগৎবল্লভপুর ব্লক ও হুগলির জাঙ্গিপাড়া এলাকার প্রচুর রোগী আসেন এখানে। যে ভাবে বহির্বিভাগে রোগী বাড়ছে তাতে নাকাল হতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। রোগীদেরও দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হচ্ছে। চিকিৎসকেরাও নিরুপায়। অন্তত ২৫ জন চিকিৎসক ও ৩০ জন নার্স থাকার কথা থাকলেও হাসপাতালে বর্তমানে মাত্র ১৩ জন চিকিৎসক ও ১৮ জন নার্স রয়েছেন। চক্ষু, শল্য চিকিৎসা, স্ত্রীরোগ ও শিশু বিভাগ রয়েছে এই হাসপাতালে। কিন্তু কোনও বিভাগেই নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসক। নেই অস্থি বিভাগ। দন্ত বিভাগ চালু হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু চিকিৎসকের অভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বাধ্য হয়ে সাধারণ মানুষকে ছুটতে হচ্ছে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতাল বা হাওড়া জেলা হাসপাতালে। জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক-সংখ্যাও বেশি নয় বলে পরিষেবা পেতে সমস্যা হয়।

হাসপাতালের সুপার কৌশিক কুমার সাউ বলেন, “চিকিৎসক হিসেবে আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করি। কিন্তু সমস্যার কথা ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত তাঁরা ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।” তবে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, চিকিৎসক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। দ্রুত তা সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

যত্রতত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে কুকুর।

নানা সমস্যার মধ্যে হাসপাতালের উন্নতির চেষ্টা করছেন বলে দাবি করেন উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজা। তাঁর কথায়, “প্রায় ১ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করা হয়েছে নিওনেটাল কেয়ার ইউনিট। আরও ২-৩ কোটি টাকায় গড়া হয়েছে হাসপাতালের চিকিৎসকদের কোয়ার্টার।” তার সঙ্গে পরিকাঠামোর উন্নতি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। এমনকী খোলা হয়েছে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান। উত্তরোত্তর রোগীর চাপ বাড়ায় স্থানীয় বাসিন্দা ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, অবিলম্বে দ্রুত হাসপাতালের উন্নতি করা হোক, জরুরি বিভাগে চিকিৎসক বাড়ানো হোক।

ছবি: সুব্রত জানা।

udaynarayanpur hospital doctors unavailable
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy