চার মাস ধরে জলবাহিত রোগে নাজেহাল পানিহাটি পুর এলাকার কয়েক হাজার বাসিন্দা। তবু টনক নড়ছে না পানিহাটি পুরসভার। বাসিন্দা থেকে চিকিৎসক সকলেই জানাচ্ছেন, কিছু কিছু এলাকায় হেপাটাইটিস ‘এ’ এবং ‘ই’ আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। কিন্তু পুরসভা বলছে, সমস্যা ছিল। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। স্থানীয় সূত্রের খবর, পানিহাটি পুরসভার অন্তর্গত আগরপাড়ার উষুমপুর বটতলা, উষুমপুর শিবির, আজাদ হিন্দ কলোনি, সুভাষ নগর, সি কে সেন রোড, পশ্চিমপল্লি, মহাজাতি নগর-সহ কিছু এলাকার পরিস্থিতি যথেষ্ট খারাপ। চিকিৎসক শুভজিৎ ভট্টাচার্যের কথায়, “প্রতি ঘর থেকেই সমস্যা নিয়ে মানুষ ভিড় করছেন চেম্বারে। রক্ত পরীক্ষায় ৭৫ শতাংশের শরীরে মিলছে হেপাটাইটিস ‘এ’, ‘ই’ ভাইরাস। চার মাসে আমার কাছেই এসেছেন এমন ১৩০ জন। কয়েক জনকে হাসপাতাল অথবা নার্সিংহোমে ভর্তি হতে হয়েছে।” স্থানীয় একটি ল্যাবের কর্ণধার শুভঙ্কর মিশ্র জানাচ্ছেন, হেপাটাইটিস ‘ই’ রোগ নির্ধারণের ‘আই জি এম’ পরীক্ষায় চার মাসে তাঁর ল্যাব থেকেই ছ’শো রোগীর শরীরে এই ভাইরাস মিলেছে। বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, মারা গিয়েছেন সাত জন। পুরসভার হিসেবে সংখ্যাটি অবশ্য এক। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা ঠিকমতো জানাতে পারেনি পানিহাটি পুরসভার তৃণমূলচালিত পুরবোর্ড। তাঁদের দাবি, পুরসভার তরফে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান পারিষদ (জল) সুভাষ চক্রবর্তী বলছেন, “উন্নয়নমূলক কাজ করতে গিয়ে জলের পাইপে ফুটো হওয়ায় সমস্যা হয়েছিল। আপাতত কাজ বন্ধ করা হয়েছে। পাইপ সারানো হয়েছে, ব্লিচিং দিয়ে পরিষ্কারও করা হয়েছে।” চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) হিমাংশু দেব জানান, পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা এলাকার ঘরে ঘরে গিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন। সচেতনতা বাড়াতে যাবতীয় পদক্ষেপও করা হচ্ছে। যদিও তা মানতে নারাজ স্থানীয় বাসিন্দারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy