জল না আসায় ব্যাহত হল অপারেশন থিয়েটারের (ওটি) কাজকর্ম। দুর্ভোগে পড়লেন রোগীরা। অনেকে ওটিতে এসে অস্ত্রোপচার না করে ফিরে যেতে বাধ্য হলেন। জলের জন্য শুক্রবার দিনভর মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অনান্য কয়েকটি ওয়ার্ডেও সমস্যা হয়েছে। ওটি’র কাজকর্ম ব্যাহত হওয়ার কথা মানছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল সুপার যুগল কর বলেন, “ওটিতে জলের সমস্যা ছিল। পাইপ লাইনে জল আসছিল না। পরবর্তী সময় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও করা হয়েছে।” রোগীদের দুর্ভোগের কথা জানতে পেরে এদিন দুপুরে ওটিতে আসেন সরকারি সুপার শ্যামল পট্টনায়েক। তাঁর কথায়, “একটা সমস্যা হয়েছিল। সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপও করা হয়েছে।”
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রতিদিন বহু মানুষ আসেন। হাসপাতালে ১৮টি ওয়ার্ড রয়েছে। ৫৬০টি শয্যা রয়েছে। গড়ে রোগী ভর্তি থাকে ৭০০- ৭৫০ জন। ২টি বড় ওটি রয়েছে। এরই একটিতে শুক্রবার দিনভর কাজকর্ম ব্যাহত হয়। জানা গিয়েছে, যে ট্যাঙ্ক থেকে এই ওটিতে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জল সরবরাহ করা হয়ে থাকে, সেই ট্যাঙ্কে এদিন জল তোলাই যাচ্ছিল না। যে পাইপ লাইনের মাধ্যমে ট্যাঙ্কে জল ওঠে, সেই লাইনে ত্রুটি ছিল। পরে মেরামতের কাজ শুরু হয়। পরিস্থিতি দেখে দুপুরে অন্য একটি ওয়ার্ডে জল সরবরাহ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রেখে এই ওটিতে জল সরবরাহ করাও হয়। তবে এতে সমস্যা পুরোপুরি দূর হয়নি।
এ দিন অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা ছিল গড়বেতা থানার নলবনার বাসিন্দা নিমাই বাগের। তিনি সকালে ওটিতে চলেও এসেছিলেন। পরে অবশ্য ওয়ার্ডে ফিরে যান। নিমাইবাবুর ছেলে রাজদীপ বাগ বলেন, “সেই কবে থেকে ঘুরছি। এদিন ওটিতে এসে শুনলাম জল নেই। জল না আসায় চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচার করছেন না। কবে যে অস্ত্রোপচার হবে, বুঝতে পারছি না।” এদিন অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা ছিল অপর্না বেরারও। অপর্নাদেবী মেদিনীপুর কোতয়ালি থানার হরিশপুরের বাসিন্দা। তাঁর দাদা অমলেন্দু মাহালা এদিন সুপারের দফতরে গিয়ে দরবারও করেন। এদিনই যাতে অস্ত্রোপচার হয়, সেই আর্জিও জানান। তাঁর কথায়, “এ ভাবে ওটির কাজকর্ম ব্যাহত হলে তো সকলেরই সমস্যা।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy