Advertisement
E-Paper

নার্সিংহোমে পড়ে মাথায় চোট, মৃত্যু

নার্সিংহোমে ভর্তি এক রোগী চেয়ার থেকে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান বলে অভিযোগ। ছয় দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার সকালে ওই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এর পরেই শিলিগুড়ির মাটিগাড়া থানায় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন পরিবারের সদস্যেরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০১৪ ০২:০৫

নার্সিংহোমে ভর্তি এক রোগী চেয়ার থেকে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান বলে অভিযোগ। ছয় দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার সকালে ওই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এর পরেই শিলিগুড়ির মাটিগাড়া থানায় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন পরিবারের সদস্যেরা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম হেমেন্দ্রকুমার ভৌমিক (৭৮)। যদিও নার্সিংহোমে কর্তৃপক্ষ গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কোনও গাফিলতি হয়নি বলে জানিয়েছেন নার্সিংহোমের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার রুমা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, “প্রতিটি রোগীকে আলাদাভ াবে দেখভাল করা হয়। ওই রোগীর ক্ষেত্রেও যথাযথ যত্ন নেওয়া হয়েছে। গাফিলতির অভিযোগ ঠিক নয়।”

শিলিগুড়ি পুলিশের ডিসি ওজি পাল বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৪ জুলাই দুই ইউনিট রক্ত নেওয়ার জন্য হেমেন্দ্রবাবুকে মাটিগাড়ার উপনগরীর একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছিল। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে আসায় হেমেন্দ্রবাবুকে মাঝেমধ্যে রক্ত দিতে হত। নার্সিংহোমে ভর্তির পর দিন হেমেন্দ্রবাবুকে একটি ঘরে চেয়ারে বসিয়ে কর্মীরা অন্যত্র চলে যান বলে অভিযোগ। সে সময়ে তিনি আচমকাই চেয়ার থেকে পড়ে যান। এর পরে নার্সিংহোমের তরফে পরিবারকে ঘটনার কথা জানানো হয়। তাঁর মস্তিস্কে রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছে বলে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ তাঁদের জানান বলে পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে। তারপর ওই নার্সিংহোমেই ভর্তি ছিলেন হেমেন্দ্রবাবু। পরিবারের অভিযোগ, হেমেন্দ্রবাবুর রোগ সংক্রান্ত সব নথি আগেভাগেই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে জমা দেওয়া হয়। শারীরিক দুর্বলতার কারণে কোনও সময়েই একা ঘরে না রাখার পরামর্শও চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশনে ছিল বলেও অভিযোগ। এর পরেও কেন তাঁকে একা ঘরে রাখা হয়েছিল তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন আত্মীয়েরা। হেমেন্দ্রবাবুর মেয়ে জলি সরকার এই দিন অভিযোগ করে বলেছেন, “বাবা পড়ে গিয়েছেন বলে আমাদের জানানো হয়। গিয়ে দেখি ওঁর মাথায় ব্যান্ডেজ বাঁধা। তার পরে বিস্তারিত ভাবে কোনও তথ্য জানানো হয়নি। নার্সিংহোমের গাফিলতির জন্যই বাবার মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।”

siliguri death hospital
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy