Advertisement
E-Paper

পরিষেবার দাবি, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিক্ষোভে রোগীরা

সময়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র খোলা, চিকিত্‌সা পরিষেবা সুষ্ঠ ও স্বাভাবিক রাখার দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন চিকিত্‌সা করতে আসা রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রা। ঘটনায় ঢুকতে বাধা পেয়ে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনেই দাঁড়িয়ে থাকতে হয় এক চিকিত্‌সককে। পরে প্রয়োজনীয় আশ্বাস মেলায় বিক্ষোভকারীরা ওই চিকিত্‌সককে ঢুকতে দেন। বৃহস্পতিবার ইলামবাজার থানার জয়দেব-কেঁদুলি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঘটনা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০১৪ ০২:০৯

সময়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র খোলা, চিকিত্‌সা পরিষেবা সুষ্ঠ ও স্বাভাবিক রাখার দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন চিকিত্‌সা করতে আসা রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রা। ঘটনায় ঢুকতে বাধা পেয়ে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সামনেই দাঁড়িয়ে থাকতে হয় এক চিকিত্‌সককে। পরে প্রয়োজনীয় আশ্বাস মেলায় বিক্ষোভকারীরা ওই চিকিত্‌সককে ঢুকতে দেন। বৃহস্পতিবার ইলামবাজার থানার জয়দেব-কেঁদুলি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঘটনা।

জয়দেব-কেঁদুলি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ওপর আশেপাশের চারটি অঞ্চলের কম পক্ষে প্রায় পঞ্চাশ হাজারের মানুষ নির্ভরশীল। এমনই গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালের পরিকাঠামো নিয়ে চিকিত্‌সক ও সেবিকাদের মহলে ক্ষোভ দীর্ঘ দিনের। ওই এলাকার উপযুক্ত পরিকাঠামোর দাবিতে বেশ কিছু চিকিত্‌সক ও সেবিকা ইতিমধ্যেই স্থানান্তর নিয়েছেন। কিন্তু বর্তমান কাঠামো অনুযায়ী একজন সেবিকা, একজন ফার্মাসিস্ট ও একজন জিডিএ স্টাফ রয়েছেন ওখানে। দায়িত্বে রয়েছেন ইলামবাজার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এক চিকিত্‌সক অনিরুদ্ধ সরকার। তিনি আবার ইলামবাজার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কাজে যুক্ত।

স্থানীয়দের অভিযোগ, উপযুক্ত পরিকাঠামো না থাকার কারণে প্রয়োজনীয় পরিষেবা পাছেন না রোগীরা। মাঝে মাঝেই ওই হাসপাতালে খুলতে অহেতুক দেরি হয়। হাসপাতালের কর্মীদের দেরিতে চাবি খোলা, থেকে শুরু করে সরকারী অনুমোদিত ওষুধ না পাওয়া, রোগী পরিষেবা সময় মতো না পাওয়া নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে বিস্তর। স্থানীয় বাসিন্দা এবং রোগীদের অভিযোগ বৃহস্পতিবার চিকিত্‌সক অনিরুদ্ধ সরকার বন্ধ হাসপাতালের সামনে প্রায় এক ঘণ্টার বেশি দাঁড়িয়েছিলেন। অথচ ওই হাসপাতালের চাবি যাঁর কাছে সেই চতুর্থ শ্রেণির কর্মী অনুপস্থিত ছিলেন। অনেক বেলা পর্যন্ত তিনি না আশায় ক্ষোভ বাড়ে রুগী ও তাঁদের আত্মীয়দের মধ্যে। দেরিতে চাবি খোলায় পরিষেবা পেতে আসা দূর দুরান্তরের রোগীরা ক্ষোভ জানান।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতালে দৈনিক গড়ে ৭০ থেকে ৭৫ জন রোগী পরিষেবা পেতে আসেন। গরম কালে ওই সংখ্যা গড়ে একশো ছাড়িয়ে যায়। এমনই গুরুত্বপূর্ণ জায়গার হাসপাতালে বহিঃ বিভাগে সকাল সাড়ে ন’টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত স্থায়ী সময়ের চিকিত্‌সকের দাবি তুলেছেন বাসিন্দারা। বর্তমান যিনি ওই দায়িত্বে আছেন, তিনি প্রায় তিন বছর ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিষেবা দিয়েছেন। মাস দু’য়েক আগে তিনি ইলামবাজার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্থানান্তর হয়েছেন। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কতৃর্পক্ষের নির্দেশে ওই হাসপাতালের পরিষেবা সুস্তু রাখার জন্য ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশাপাশি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিষেবাও জুগিয়ে আসছেন। কিন্তু পরিকাঠামোগত অভাবের কারণে ক্ষোভ বাড়ছে অনেকের।

এ দিন ঠিক সময়ে হাসপাতাল খোলা এবং চিকিত্‌সা পরিষেবা সুষ্ঠ করার দাবিতে বেশ কিছুক্ষণ ওই পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে ফের বেলা পৌনে এগারোটা নাগাদ স্বাভাবিক হয় চিকিত্‌সা পরিষেবা। চিকিত্‌সক অনিরুদ্ধ সরকার বলেন, “দেরিতে চাবি খোলায় রোগীদের অসুবিধে হয়েছে, বিষয়টি অস্বীকার করছি না। তবে দ্রুত রোগী পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করেছি। গোটা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।”

ইলামবাজারের বিএমওএইচ সুধীর রায় চৌধুরী বলেন, “ওই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। স্বাস্থ্য পরিষেবা যাতে ব্যাহত না হয়, সেই দিকে নজর রয়েছে।”

agitation patient ilambazar health centre
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy