Advertisement
E-Paper

বেহালায় রোগীর মৃত্যু ঘিরে ভাঙচুর হাসপাতালে

এক রোগীর মৃত্যু ঘিরে শনিবার তুলকালাম হল বেহালার বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। রোগীর বন্ধুদের বিরুদ্ধে হাসপাতালে যথেচ্ছ ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। ওই যুবকেরা হাসপাতালের সুপার, চিকিৎসক এবং নিরাপত্তাকর্মীদের মারধর করেন বলেও অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানায় অভিযোগ করলেও, পুলিশ রাত পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ মে ২০১৪ ০১:৩২
সঞ্জীব হালদার।  —নিজস্ব চিত্র

সঞ্জীব হালদার। —নিজস্ব চিত্র

এক রোগীর মৃত্যু ঘিরে শনিবার তুলকালাম হল বেহালার বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। রোগীর বন্ধুদের বিরুদ্ধে হাসপাতালে যথেচ্ছ ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। ওই যুবকেরা হাসপাতালের সুপার, চিকিৎসক এবং নিরাপত্তাকর্মীদের মারধর করেন বলেও অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানায় অভিযোগ করলেও, পুলিশ রাত পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি।

পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে বেহালার সরশুনার বাসিন্দা সঞ্জীব হালদার ওরফে বাপ্পা (২৫) নামে এক যুবককে সাপে কামড়ায়। জনা দশেক স্থানীয় যুবক তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সঞ্জীবের পরিবারের অভিযোগ, বিনা চিকিৎসায় বাপ্পাকে ফেলে রাখা হয়েছিল। পরিবারের লোকজন তাঁকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেননি বলে অভিযোগ। শনিবার সকাল ৭টা ২৫ নাগাদ ওই হাসপাতালেই মৃত্যু হয় বাপ্পার।

হাসপাতালের চিকিৎসক মইনুদ্দিন নস্কর শুক্রবার রাতে বাপ্পার শারীরিক পরীক্ষা করেন। তিনি শনিবার বলেন, “ছেলেটিকে পরীক্ষা করে নেশাগ্রস্ত মনে হয়েছিল। বাঁ হাতে কাটা দাগ থাকলেও তা পরীক্ষা করে সাপে কামড়ানো মনে হয়নি। ছেলেটিকে হাসপাতালের ওয়ার্ডে রাখতেও বেশ সমস্যা হচ্ছিল। অতিরিক্ত নেশা করার জন্যই ওই রোগীর মৃত্যু হয়েছে।”

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, রোগীর মৃত্যুর খবর পেয়ে এ দিন দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ বেশ কিছু যুবক হাসপাতালে জমায়েত হতে শুরু করেন। কিছুক্ষণ পরে তাঁরা দল বেঁধে দোতলায় সুপারের ঘরে ঢোকেন। ভাঙচুর করা হয় সুপারের ঘরের ফ্রিজ, এসি-সহ বিভিন্ন আসবাব। হাসপাতালের সুপার উত্তম মজুমদারকে মারধরও করা হয়। তাঁর ঘাড়ে আলমারি ফেলে দেওয়ার চেষ্টা হয় বলেও অভিযোগ। পুলিশ জানায়, সুপারকে বাঁচাতে গিয়ে ওই যুবকদের হাতে প্রহৃত হন কয়েক জন চিকিৎসক এবং নিরাপত্তাকর্মী।

হাসপাতাল সুপার উত্তম মজুমদার বলেন, “এ রকম ঘটনা ঘটলে রাতে রোগী ভর্তি করা নিয়েই আমাদের ভাবনা-চিন্তা করতে হবে।” বাপ্পার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ির তিন ছেলের মধ্যে বাপ্পা ছোট। তিনি নেশা করতেন বলে হাসপাতালের চিকিৎসক যা জানিয়েছেন, তা অস্বীকার করছেন বাড়ির লোকজন। অন্য দিনের মতোই শুক্রবারও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আড্ডা মারতে বেরিয়েছিলেন তিনি। তখনই তাঁকে সাপে কামড়ায় বলে পরিবারের দাবি। বাপ্পার মেজ ভাই সুরজিৎ বলেন, “ভাই যে এমন ভাবে মারা যাবে তা ভাবতে পারছি না।”

behala vidyasagar state general hospital behala
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy