Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
মালিকদের আশ্বাস দিল পুরসভা

শহরের বাইরে শুয়োরের খামার করলে ব্যাঙ্কের ঋণ

শহরের বাইরে শুয়োরের খামার করতে উদ্যোগী হলে জলপাইগুড়ি পুরসভা ব্যাঙ্ক ঋণের ব্যবস্থা করবে। পুজোর আগে শহরকে শুয়োরমুক্ত করতে বৃহস্পতিবার এমনই আশ্বাস দিলেন পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু। পুরসভার বিরোধী দলনেতা তথা সিপিএমের প্রমোদ মণ্ডল অভিযোগ করে বলেন, “শুয়োর ধরতে না পেরে এখন পুরসভা শুয়োরের মালিকদের দ্বারস্থ হয়েছে।”

জলপাইগুড়ি হাসপাতাল চত্বরে বৃহস্পতিবার অবশেষে শুরু হল সাফাইয়ের কাজ। তবে শুয়োরের দল ঘুরেছে অবাধেই। ছবি: সন্দীপ পাল।

জলপাইগুড়ি হাসপাতাল চত্বরে বৃহস্পতিবার অবশেষে শুরু হল সাফাইয়ের কাজ। তবে শুয়োরের দল ঘুরেছে অবাধেই। ছবি: সন্দীপ পাল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০১৪ ০২:১১
Share: Save:

শহরের বাইরে শুয়োরের খামার করতে উদ্যোগী হলে জলপাইগুড়ি পুরসভা ব্যাঙ্ক ঋণের ব্যবস্থা করবে। পুজোর আগে শহরকে শুয়োরমুক্ত করতে বৃহস্পতিবার এমনই আশ্বাস দিলেন পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু। পুরসভার বিরোধী দলনেতা তথা সিপিএমের প্রমোদ মণ্ডল অভিযোগ করে বলেন, “শুয়োর ধরতে না পেরে এখন পুরসভা শুয়োরের মালিকদের দ্বারস্থ হয়েছে।”

মোহনবাবু বলেন, “পুরসভার একার পক্ষে শহরকে রাতারাতি শুয়োর মুক্ত করা সম্ভব নয়। তাই যে সব ব্যক্তি শুয়োর পালন করেন, তাঁরা যদি শহরের বাইরে নিয়ম মেনে খামার তৈরি করে শহরে ছেড়ে রাখা শুয়োর সেখানে নিয়ে যান তবে পুরসভার পক্ষ থেকে ব্যাঙ্কঋণ পাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।” চেয়ারম্যান জানান, শহরে শুয়োর পালন করেন এমন কয়েকজনের সঙ্গে তাঁদের কথা হয়েছে। জলপাইগুড়ি শহরের বাইরে খামার করে তাঁদের শুয়োর পালন করার কথা বলা হয়েছে।

এক সপ্তাহ আগে জলপাইগুড়ি পুরসভা শুয়োর ধরার অভিযান শুরু করে। পুরসভার পক্ষে শহরের সব শুয়োর ধরা সম্ভব নয় বলে পরে এজেন্সির মাধ্যমে ওই কাজ করার কথা ভাবা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। ফলে শহরে শুয়োরের দৌরাত্ম্য কমেনি বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবারও জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতাল চত্বরে শুয়োরের দল ঘুরতে দেখা গিয়েছে।

জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, “কিছু নির্দিষ্ট ধরনের শুয়োরের প্রতিপালনের জন্যই সাধারণত খামার ঋণ দেওয়া হয়। তবে এখন পরিস্থিতি বুঝে আমরা সব ধরনের শুয়োরের জন্যই সহজ শর্তে দিচ্ছি। খামার তৈরির জন্য বিশেষজ্ঞের সহায়তাও পাওয়া যাবে ব্যাঙ্ক থেকে।”

শুধু শুয়োর নয়, জলপাইগুড়ি শহরের আবর্জনা সাফাই নিয়েও বিস্তর অভিযোগ রয়েছে বাসিন্দাদের। বৃহস্পতিবার সদর হাসপাতালে জঞ্জাল সাফাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু শহরের বিভিন্ন এলাকায় জঞ্জালের স্তুপ জমে রয়েছে। চেয়ারম্যান জানান, লোকবলের অভাবে দ্রুত সাফাইয়ের কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই রাজ্য সরকারের কাছে ছ’টি ড্রেজার ও ডাম্পার চাওয়া হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE