দুপুরে মাছ না হলে বাঙালির চলে না। রুই, কাতলা, পারশে, পাবদা, চিংড়ি— রকমারি মাছের পদ! বাঙালির স্বাস্থ্য সচেতনতা অল্প হলেও বেড়েছে। তাই রান্নায় তেলের ব্যবহার নিয়ে অনেকেই সতর্ক থাকেন। আর পাঁচটা রান্নায় অল্প তেলের ব্যবহার হলেও মাছ ভাজতে গেলেই সমস্যা শুরু। কড়াইয়ে অল্প তেলে মাছ ভাজার ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময়ই মাছ লেগে যায়। এমনকি ভাজার সময় উল্টোতে গেলে মাছ ভেঙে যায় বা মাছের চামড়াটা আলাদা হয়ে যায়। মোট কথা বাজার থেকে সুন্দর করে কাটিয়ে আনা মাছের পিসগুলি আর নিখুঁত থাকে না। মাছ ভাজার সময় কোন কোন বিষয়গুলি খেয়াল রাখলে কড়াইয়ে মাছ লেগে যাবে না?
১) মাছ ভাজার আগে মাছ থেকে ভাল করে জল ঝরিয়ে নিন। পারলে কিচেন টিসু দিয়ে মাছের গা একদম শুকনো করে মুছুন। কারণ মাছের গায়ে জল থাকা অবস্থায় তা কড়াইয়ের গরম তেলে দিলে, মাছ ভেঙে যাওয়া বা ছাল ছাড়িয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেবে।
২) কিচেন টিসু দিয়ে মাছ ভাল করে মোছার পর হলুদ, নুন ও লঙ্কাগুঁড়ো মাখিয়ে মাছ ভাজুন। ভাজতে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নাড়তে শুরু করবেন না। অন্তত মিনিট পাঁচেক এক ভাবে ভাজুন। কারণ মাছের গা একটু শক্ত না হওয়ার আগেই নাড়তে থাকলে কড়াইয়ে লেগে যাবে।
৩) মাছ ভাজার সময় খেয়াল রাখুন তেলটা ঠিক মতো গরম হয়েছে কি না। অনেকেই তেল ঠিক মতো গরম হওয়ার আগেই মাছ ছেড়ে দেন, তাতে মাছ লেগে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
৪) মাছ ভাজার সময় আঁচ মাঝারি করে ভাজুন। ভাল করে ভাজা হয়ে গেলে তবেই আর এক পিঠ উল্টোবেন, না হলে মাছ ভেঙে যাবে।
৫) খুব অল্প তেলে মাছ ভাজতে গেলেই ভেঙে যায়, তাই মাছে নুন, হলুদ মাখানোর সময় একটু ময়দা ছড়িয়ে দিন। এতে মাছ ভাঙবেও না আর মুচমুচেও হবে মাছ ভাজা।