সরকারি সিদ্ধান্ত হয়েছিল আরজিকর-এর ট্রমা সেন্টারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে সাহায্য করবে ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস। তিন বছর পেরোতে চলল, এখনও রাজ্যে র অন্যতম প্রধান ওই মেডিক্যাল কলেজ থেকে কোনও ডাক পাননি তাঁরা। সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানান ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান রবীন সেনগুপ্ত। তাঁর দাবি, এ রাজ্যে স্নায়ু চিকিৎসার মান এখন দেশের যে কোনও শহরের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে। সরকারের সঙ্গে যৌথ ভাবে যে কোনও প্রকল্পে তাঁরা আগ্রহী।
পূর্বাঞ্চলে তাঁদের হাসপাতালেই নিউরো ক্যাথল্যাব রয়েছে বলে জানালেন চিকিৎসক সুকল্যাণ পুরকায়স্থ। তাঁর কথায়, হার্ট অ্যাটাকের পরে যেমন ‘গোল্ডেন আওয়ার’ থাকে, তেমনই স্ট্রোকের পরেও যত দ্রুত সম্ভব রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে পরবর্তী ক্ষতির পরিমাণ কম করা সম্ভব। পার্কিনসন্স, মৃগী এবং স্নায়ু রোগীদের পুনর্বাসনের ক্ষেত্রেও তাঁরা নানা আধুনিক পরিষেবা দিচ্ছেন বলে দাবি রবীনবাবুর।
২০০৮ সালে বামফ্রন্ট সরকার আরজিকরে ট্রমা সেন্টার গড়ার ঘোষণা করে। বলা হয়, ২০১১-র মধ্যে ২০০ শয্যার ওই কেন্দ্রটি চালু হয়ে যাবে। এ জন্য ১৬ কোটি টাকা অনুমোদনও করা হয়। কিন্তু বাম আমলে যেমন, তৃণমূলের আমলেও তেমনই কাজ কিছু এগোয়নি। এর অন্যতম কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্কটের কথাই সরকারি তরফে বারবার বলা হয়েছে। রবীনবাবুর দাবি, তাঁদের হাসপাতালে দেশ-বিদেশ থেকে দক্ষ চিকিৎসকেরা যোগ দিয়েছেন। সরকারি প্রতিষ্ঠানকে তাঁরা চিকিৎসাগত যে কোনও সাহায্য করতে প্রস্তুত। শুধু ট্রমার চিকিৎসায় নয়, পরবর্তী জীবনে রোগীর পুনর্বাসনের ক্ষেত্রেও তাঁরা সাহায্যের হাত বাড়াতে রাজি বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ রাজ্যে সরকারি পরিকাঠামোয় স্নায়ু চিকিৎসার একমাত্র পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্র বাঙুর ইনস্টিটিউট অব নিউরোলজি। কিন্তু সেখানে বিপুল চাপের কারণে পরিষেবা পেতে বহু ক্ষেত্রেই মাসের পর মাস পেরিয়ে যায়। স্নায়ু চিকিৎসার ক্ষেত্রে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে কোনও পরিষেবা চালুর ভাবনা কি রয়েছে রাজ্য সরকারের? স্বাস্থ্যকর্তারা জানিয়েছেন, এখনই তাঁরা তেমন কিছু ভাবছেন না। তবে আরজিকরের ট্রমা সেন্টারটি চালু হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের জন্য তাঁরা ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস-এর উপরে অনেকটাই ভরসা করবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy