অন্তর্বিভাগ বন্ধ ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে।
বহির্বিভাগের একমাত্র চিকিত্সক অবসর নিয়েছেন অন্তত ছ’বছর আগে।
তার পরে আর চিকিত্সক নিয়োগ হয়নি। ভরসা একমাত্র অ্যাডিশনাল মেডিক্যাল অফিসার। কিন্তু তিনিও নিয়মিত আসেন না বলে অভিযোগ রয়েছে গ্রামবাসীদের।
ফলে, দীর্ঘদিন ধরে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে পাঁচলার দেউলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি। বিপাকে পড়ে রোগীদের ছুটতে হচ্ছে অন্তত ১৫ কিলোমিটার দূরের গাববেড়িয়া হাসপাতালে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি দ্রুত পুরোদমে চালু করার দাবি গ্রামবাসীদের দীর্ঘদিনের। কিন্তু এখনও পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন না হওয়ায় তাঁরা হতাশ।
ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক গৌতম পাইক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির বেহাল দশার কথা মেনে নিয়ে জানিয়েছেন, এলাকার লোকজনের কথা ভেবে এখানে ভাল চিকিত্সা পরিষেবা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। সমস্যার কথা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের জানানো হয়েছে। তাঁরা চিকিত্সক নিয়োগের আশ্বাস দিয়েছেন। হাওড়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস রায়ও চিকিত্সক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন।
স্বাস্থ্য দফতর এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এক সময় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি ছিল দেউলপুর, গঙ্গাধরপুর, বলরামপুর, জুজারসাহা, জালালসি, ধুলাগড়ি, কেশবপুর-সহ অন্তত ১০টি গ্রামের বাসিন্দাদের একমাত্র ভরসা। অন্তর্বিভাগেও রোগী ভর্তি রেখে চিকিত্সা করানো হত। পুরুষ ও মহিলাদের জন্য ১০টি করে মোট ২০টি শয্যাও ছিল। প্রতিদিন গড়ে দেড়শো-দু’শো রোগী বহির্বিভাগে চিকিত্সা করাতে আসতেন। রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় তৈরি করা হয়েছিল অপারেশন থিয়েটারও। কেনা হয়েছিল যন্ত্রপাতি। ছোটখাটো অস্ত্রোপচারও হত। সব সময়ের জন্য পাওয়া যেত চিকিত্সক ও নার্স।
কিন্তু চিকিত্সকের অভাবে ১৫ বছরের বেশি আগে বন্ধ হয়ে যায় অন্তর্বিভাগ। বন্ধ হয়ে যায় অস্ত্রোপচার। বর্তমানে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রয়েছেন এক জন ফার্মাসিস্ট, দু’জন নার্স এবং এক জন সাফাইকর্মী। বিপদে-আপদে মাঝেমধ্যে তাঁদের কাছেই যেতে হয় রোগীদের।
কিন্তু রোগী এবং গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে পরিষেবা ঠিকমতো না-মেলায় তাঁদের অন্যত্রও যেতে হচ্ছে। এমনকী, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের যন্ত্রপাতি ও শয্যা চুরি হয়ে গেলেও স্বাস্থ্য দফতর উদাসীন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এক কর্মী বলেন, “স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি পুরোদমে চালু করতে হলে অন্তত দু’জন চিকিত্সক প্রয়োজন। না হলে গ্রামবাসীদের ঠিকমতো চিকিত্সা পরিষেবা দেওয়া যাবে না।”
দেউলপুরের বাসিন্দা সুব্রত চক্রবর্তী বলেন, “এলাকার রোগীরা খুবই সমস্যায় পড়ছেন। আমরা চাই, সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির হাল ফেরাক।” একই মত আরও অনেকের।
ট্রেন অবরোধ। কুয়াশার জন্য ট্রেন আসতে দেরি হওয়ায় সোমবার সকালে শিয়ালদহ-দক্ষিণ শাখার ক্যানিং লাইনে যাত্রীরা দফায় দফায় রেল অবরোধ করেন। এতে সমস্যায় পড়েন যাত্রীদেরই একাংশ। সকাল ৮টা থেকে ক্যানিং, বেতবেড়িয়া, ঘুটিয়ারিশরিফ, চম্পাহাটি স্টেশনে অবরোধ হয়। পূর্ব রেলের মুখ্য জন সংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র বলেন, “এ দিন প্রায় ২ ঘণ্টা বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেন অবরোধ করা হয়। ফলে তিনটি ট্রেন বাতিল হয়েছে। কুয়াশার জন্য কয়েকটি ট্রেন দেরিতে চলেছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy