এক দারুণ বৃষ্টির দিনে যদি বলো কবিতা বা কোনও গান আসেনি মনে, তবে বলব এমন সৃষ্টিছাড়া নাই বা হলে! বর্ষার সঙ্গে যে কাব্য, কবিতা ও কবিদের এক অমোঘ সম্পর্ক রয়েছে তা বোধ হয় নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই। সাহিত্যের মধ্যযুগের দিকে তাকালেও দেখা যাবে বহু লেখনীতে ফুটে উঠেছে বর্ষার বৈচিত্র। বাদ যাননি আধুনিক কবিরাও। তাঁদের লেখনীতেও বার বার ফিরে এসেছে বৃষ্টির সৌন্দর্য্য়।
বাংলা দিনলিপি অনুযায়ী আষাঢ় ও শ্রাবণ মাসে বর্ষা আগমণ হয়। এই ঋতুর অনেকগুলি নিজস্ব ভাব রয়েছে। কখনও সারাদিন অবিরাম বৃষ্টি, আবার কখনও আকাশ জুড়ে কালো মেঘের বুক চিরে দারুণ বিদ্যুতের খেলা। কখনও বা রাতের কালোর সঙ্গে মিশে এক পশলা বৃষ্টি, সোঁদা মাটির গন্ধ মাখা বিকেল, আরও কত কী! বর্ষাকে বিভিন্ন রূপকে নিজের মতো করে গড়ে তুলেছেন কবিরা।
এ পর্যন্ত পড়ে মনে হতেই পারে যে বর্ষার উপরে শুধুই কবিদের অধিকার। এমনটা কিন্তু নয়। বৃষ্টি নিয়ে কল্পনা শুধু থেমে থাকেনি কাব্য বা কবিতায়। সাহিত্যের বাইরে এসেও পরিবারের এক মাত্র মেয়ের নামকরণ হয়েছে বৃষ্টি, বর্ষা কিংবা শ্রাবণী। আসলে এই ঋতুর আবেগ সর্বময়। যা ছুঁয়ে গিয়েছে মানব মনকেও। হয়তো সাহিত্য সেখানে থেকেছে রূপক হয়ে।