Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
National News

কোর্টে আত্মসমর্পণ ’৮৪-র শিখবিরোধী দাঙ্গায় দোষী সজ্জনের

১৯৮৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর নিজের শিখ দেহরক্ষীদের গুলিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধী নিহত হওয়ার পরই দেশ জুড়ে শিখবিরোধী দাঙ্গা শুরু হয়।

সজ্জন কুমার। —ফাইল চিত্র।

সজ্জন কুমার। —ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৮:২৮
Share: Save:

আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন ১৯৮৪-র শিখবিরোধী দাঙ্গায় সাজাপ্রাপ্ত প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমার

সোমবার দিল্লির এক আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। এর পর তাঁকে পূর্ব দিল্লির মান্ডোলি জেলে নিয়ে যাওয়া হয়।

১৯৮৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর নিজের শিখ দেহরক্ষীদের গুলিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধী নিহত হওয়ার পরই দেশ জুড়ে শিখবিরোধী দাঙ্গা শুরু হয়। ১ নভেম্বর দক্ষিণ দিল্লির রাজনগরে এক শিখ পরিবারের পাঁচ জন সদস্যকে হত্যা এবং ওই এলাকার একটি গুরুদ্বার জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সজ্জন কুমার। ওই এলাকায় শিখ দাঙ্গায় উস্কানি দেওয়ার জন্যও নেপথ্যে ছিলেন রাজনগর কেন্দ্রের সাংসদ সজ্জন কুমার। এ ছাড়া দিল্লির সুলতানপুরিতেও এক ব্যক্তিতে খুনের ঘটনায় জড়িত ছিলেন তিনি।

(আজকের তারিখে গুরুত্বপূর্ণ কী কী ঘটেছিল অতীতে, তারই কয়েক ঝলক দেখতে ক্লিক করুন— ফিরে দেখা এই দিন।)

নভেম্বরের ওই ঘটনার জন্য ১৭ ডিসেম্বর সজ্জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনায় দিল্লি হাইকোর্ট। শাস্তি ঘোষণার পর আদালতের কাছে এক মাস সময় চেয়েছিলেন সজ্জন। আদালতের কাছে তাঁর আর্জি ছিল, তিন ছেলে-মেয়ে এবং আট নাতি-নাতনির মধ্যে বিষয়সম্পত্তি ভাগ করে দিতে ওই সময় লাগবে তাঁর। তবে গত ২১ ডিসেম্বর সজ্জনের ওই আর্জি খারিজ করে দেয় আদালত। আদালত জানায়, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে হবে তাঁকে। সেই নির্দেশ মতো এ দিন আত্মসমর্পণ করলেন সজ্জন। তবে এ নিয়ে দিল্লি আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। আগামী ২ জানুয়ারি শীতকালীন ছুটির পর সুপ্রিম কোর্ট খুলবে। সজ্জনের আইনজীবীদের আশা, এর পর ওই আবেদনের দ্রুত শুনানির দিন স্থির হবে হবে।

আরও পড়ুন: এক কেজি পেঁয়াজ ৩.৭২টাকা! দাম শুনেই মৃত্যু চাষির

সজ্জনের আত্মসমর্পণের পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা হরদীপ সিংহ পুরী একে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “৩৪ বছর হয়ে গেল... দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত শিখ পরিবারেরা ন্যায়বিচারের জন্য অপেক্ষা করে রয়েছেন। এ বার অন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধেও মামলা তরান্বিত করা প্রয়োজন।”

আরও পড়ুন: এ বার কৃষক মৃত্যুতে ২ লাখ, চাষেও সাহায্য, নতুন প্রকল্প ঘোষণা মমতার

দীর্ঘ তিন দশক ধরে শিখ পরিবারের তরফে আদালতে মামলা লড়েছেন এইচ এস ফুলকা। তাঁর মতে, আর কোনও আইনি অস্ত্র না থাকায় আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছেন সজ্জন কুমার। তিনি বলেন, “আমরা সকলেই আশা করছি, সুপ্রিম কোর্টেও যাতে স্বস্তি না পান সজ্জন কুমার।”

(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরাবাংলা খবরপেতে পড়ুন আমাদেরদেশবিভাগ।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE