Advertisement
E-Paper

পড়ুয়াদের পেটাচ্ছে পুলিশ, ভাঙছে সিসি ক্যামেরা, সামনে এল জামিয়ার আরও একটি ভিডিয়ো

ভিডিয়োর শেষ ২০ সেকেন্ড কার্যত ভয়ঙ্কর। এক নিরাপত্তা কর্মীকে দেখা যাচ্ছে, লাঠি দিয়ে সিসিক্যামেরা ভেঙে দিচ্ছেন। 

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৩:৩৪
১) লাইব্রেরির ভিতরে ঢুকছে পুলিশ। ২) ছাত্রদের বেধড়ক মার। ৩) মারধরের পর পালিয়ে গিয়েছেন পড়ুয়ারা। ছবি: টুইটারের ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।

১) লাইব্রেরির ভিতরে ঢুকছে পুলিশ। ২) ছাত্রদের বেধড়ক মার। ৩) মারধরের পর পালিয়ে গিয়েছেন পড়ুয়ারা। ছবি: টুইটারের ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।

জামিয়া কাণ্ডে সামনে এল আরও একটি ভিডিয়ো। এই ভিডিয়োতেও পুলিশি তাণ্ডবের ছবি স্পষ্ট। পড়ুয়াদের নির্বিচারে বেধড়ক মারধরের ছবিও ধরা পড়েছে নুতন এই ভিডিয়োটিতে। পাশাপাশি সিসি ক্যামেরা ভেঙে দিচ্ছেন এক নিরাপত্তা কর্মী, সেই ছবিও রয়েছে এই নয়া ভিডিয়োটিতে। কিন্তু কেন আন্দোলনে যোগ না দেওয়া লাইব্রেরিতে বসে পড়াশোনা করা নিরীহ পড়ুয়াদের এ ভাবে পেটানো হল, তার কোনও সদুত্তর নেই দিল্লি পুলিশের কাছে।

গত ১৫ ডিসেম্বর জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ঢুকে পুলিশি ব্যাপক তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু তার সপক্ষে এত দিন কার্যত তেমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী ও পড়ুয়াদের নিয়ে গঠিত জামিয়া কো-অর্ডিনেশন কমিটির পক্ষ থেকে রবিবার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আনা হয়। সেই ভিডিয়োতে লাইব্রেরির ভিতরে ঢুকে পড়ুয়াদের মারধর ও তাণ্ডবের ছবি সামনে আসতেই শুরু হয় তোলপাড়। পরে প্রকাশ্যে আসে প্রায় একই রকম একাধিক ভিডিয়ো।

তার মধ্যেই সোমবার আরও একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আনল কো-অর্ডিনেশন কমিটি। এই ভিডিয়োতেও দেখা যাচ্ছে, ওই দিন ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছিলেন পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মীরা। আগের দিনের ফুটেজ ছিল লাইব্রেরির স্টাডি রুমের ভিতরের। সোমবারের ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে একটি দরজার সামনে দাঁড়িয়ে নিরাপত্তাকর্মীরা। পড়ুয়ারা একে একে বাইরে বার হচ্ছেন। কিন্তু সরু দরজা দিয়ে এক সঙ্গে অনেকে বেরোতে গিয়ে জটলা সৃষ্টি হচ্ছে। তখনই শুরু হয় মারধর।

আরও পড়ুন: জামিয়া ভিডিও প্রকাশ্যে আসার দিনেই ‘নিরপেক্ষ’ পুলিশের হয়ে ব্যাট অমিতের

বিশেষ করে ভিডিয়োর শেষ ২০ সেকেন্ড কার্যত ভয়ঙ্কর। পড়ুয়ারা গাদাগাদি হয়ে পড়ে আছেন। কেউ ছুটে পালানোর চেষ্টা করছেন। ওই অবস্থাতেই পড়ুয়াদের যাঁকে সামনে পাচ্ছেন, তাঁকেই নির্বিচারে লাঠিপেটা করছেন নিরাপত্তা কর্মীরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই জায়গাটা ফাঁকা হয়ে যায়। তার পর এক নিরাপত্তা কর্মীকে দেখা যাচ্ছে, লাঠি দিয়ে সিসিক্যামেরা ভেঙে দিচ্ছেন। যদিও আনন্দবাজার কর্তৃপক্ষ এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেননি।

রবিবার ভিডিয়ো সামনে আসার পর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। যে পড়ুয়ারা ক্যাম্পাসের বাইরে আন্দোলনে যোগ দেননি, লাইব্রেরিতে বসে পড়াশোনা করছিলেন— এমন ছাত্র-ছাত্রীদের এই ভাবে নির্বিচারে লাঠিপেটা করার যুক্তি কী, তা নিয়ে সরব হয়েছে নানা মহল। সোমবারের ভিডিয়ো সামনে আসার পর সেই প্রশ্ন আরও জোরদার হয়েছে।

আরও পড়ুন: কাশ্মীরে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ নয়, রাষ্ট্রপুঞ্জের মধ্যস্থতার প্রস্তাব ফেরাল ভারত

গত কাল রবিবার একাধিক ভিডিয়ো সামনে আসার পরেই অস্বস্তিতে পড়েছিল দিল্লি পুলিশ। সব ভিডিয়ো ফুটেজ খতিয়ে দেখে আশ্বাস দিয়েছিল তদন্তের। দিল্লি পুলিশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীন। ভিডিয়ো সামনে আসার পরেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ওই ফুটেজের প্রসঙ্গ উল্লেখ না করে দিল্লি পুলিশের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও অস্বস্তি কাটেনি। নয়া এই ফুটেজ সামনে আসার পরে সেই অস্বস্তি আরও বাড়ল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

Jamia Millia Islamia University Delhi Police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy