নাগরিক পঞ্জির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অসমে। ছবি: এএফপি।
ফের বন্ধু হারাল বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনের বাকি আর কয়েক মাস। তার আগে অসমে তাদের হাত ছাড়ল অসম গণ পরিষদ (অগপ)।
এই মুহূর্তে অসমে নাগরিক পঞ্জির (এনআরসি) কাজ চলছে। ইতিমধ্যেই খসড়া তালিকায় বাদ গিয়েছে ৪০ লক্ষ বাসিন্দার নাম। তার জেরেই জোট ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আঞ্চলিক ওই দল। এতে সর্বানন্দ সোনোয়াল সরকারের উপর বিশেষ প্রভাব পড়বে না বটে, তবে লোকসভা ভোটের আগে যে ভাবে একের পর এক শরিক দল বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছে, তাতে চিন্তা বাড়ছে শাসকদলের।
মঙ্গলবার সংসদের অধিবেশনে এনআরসি নিয়ে আলোচনার কথা। তার আগের দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গে দেখা করেন অগপ নেতারা। সেখান থেকে বেরিয়েই জোট ছাড়ার কথা ঘোষণা করা হয়। দলের সভাপতি অতুল বরা বলেন, “নাগরিক পঞ্জির সিদ্ধান্ত অত্যন্ত ঝুঁকির। অসমবাসীর নীতির বিরুদ্ধে। কার্যকর হলে তার মাসুল গুনতে হতে পারে। হাজার বার বিজেপিকে সে কথা বোঝানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু কথা কানে তোলেনি ওরা। তাই জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসা ছাড়া আর উপায় ছিল না।” তাঁর দাবি, “এজিপি-বিজেপি জোটকেই ভোট দিয়েছিলেন অসমের মানুষ। কিন্তু একটাও প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেনি বিজেপি। কিন্তু আমরা আঞ্চলিক দল। রাজ্যের মানুষের ইচ্ছা ও আবেগ-কে শ্রদ্ধা জানাতে বাধ্য আমরা। তাঁদের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ”
আরও পড়ুন: কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবসরের বয়স বাড়ল
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী পুজো কমিটিগুলিকে সাহায্য করেন, তাই কেন্দ্র চাপ দিচ্ছে: ফিরহাদ
এনআরসি নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি তুলেছিলেন অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও অগপ নেতা প্রফুল্লকুমার মহন্ত। পঞ্জি তৈরির কাজ শুরু হলে বিজেপির হাত ছাড়বেন বলে হুমকিও দিয়ে রেখেছিলেন তিনি। তা সত্ত্বেও সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে রাজি হননি বিজেপি নেতৃত্ব।
২০১৬ সালে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের আগে জোট গড়ে ওঠে বিজেপি ও অগপ-র মধ্যে। ১২৬টি আসনের মধ্যে ৬১টিতে জয়ী হয় বিজেপি। অগপ পায় ১৪টি আসন। জোটে সামিল ছিল বোড়ো পিপলস ফ্রন্টও। তারা পায় ১২টি আসন। সব মিলিয়ে বিজেপির আসন সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ৮৭, যা ম্যাজিক ফিগারের চেয়ে ঢের বেশি। তাই অগপ চলে গেলেও, সংখ্যাগরিষ্ঠতা বজায় থাকবে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy