বি এস ইয়েদুরাপ্পা।
কর্নাটকে আস্থাভোটে জয়ী হলেন বি এস ইয়েদুরাপ্পা। আর আজই স্পিকারের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন রমেশ কুমার। তবে তাঁর পদত্যাগেই কর্নাটকে তিন সপ্তাহ ধরে চলা নাটক শেষ হল না। কারণ, বিদ্রোহী বিধায়কদের দু’জন তাঁদের বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে স্পিকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে পৌঁছে গেলেন।
১৭ জন বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ হওয়ায় ইয়েদুরাপ্পার পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ সহজ হয়ে গিয়েছিল। আজ ধ্বনিভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জয়ের পরে তিনি বলেন, ‘‘কুমারস্বামী ও সিদ্দারামাইয়ারা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা দেখাননি। আমিও প্রতিহিংসার রাজনীতি করব না।’’ তবে নতুন মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি কুমারস্বামী। তিনি বলেন, ‘‘আজ আপনি বিদ্রোহী বিধায়কদের ধন্যবাদ জানাতে ভুলে গিয়েছেন। ওঁদের জন্যই তো ফের কুর্সিতে বসতে পারলেন। তবে মনে রাখবেন, ওঁরা এখন দানব হয়ে আপনার কাছে ফিরে আসবে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘কিছু দিন আগে বিশেষ বিমানে চাপিয়ে ওঁদের মুম্বইয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এখন আর পাঁচ জন যাত্রীর মতোই ফেরানো হচ্ছে তাঁদের।’’
আস্থাভোট মিটে যাওয়ার পরে, নাটকীয় ভাবেই ইস্তফা দেন স্পিকার রমেশ কুমার। গত কালই তিনি জানিয়েছিলেন, ইস্তফা দেওয়ার কথা ভাবছেন না। তবে দুপুরে রমেশ কুমারের দাবি, ভোট প্রক্রিয়ার মধ্যে দুর্নীতির শিকড় ছড়িয়ে গিয়েছে। নির্বাচনী সংস্কার ছাড়া যা আটকানোর কথা ভাবা যায় না। ফলে বিধানসভায় নির্বাচনী সংস্কার নিয়ে আলোচনা করে, সেই প্রস্তাব সংসদে পাঠানোর প্রস্তাব দেন তিনি। ইয়েদুরাপ্পার উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য, ‘‘ক্ষমতা পেয়েছেন। চারপাশে এখন অনেকেই আসবেন। ভুলে ভাববেন না যাঁরা চারপাশে ঘুরছেন, তাঁরা আপনার আসল শুভাকাঙ্ক্ষী।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy