Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
National News

নিশানায় অখিলেশ-মায়াবতী? যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে ‘দুর্নীতি’র তদন্তভার নিল সিবিআই

যদিও অভিযোগ ওঠার পর থেকেই মায়াবতী-অখিলেশ দু’জনই কেন্দ্র এবং যোগী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগ তুলে আসছেন।

যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে দুর্নীতির তদন্তভার নিল সিবিআই। ছবি: ফেসবুক থেকে

যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে দুর্নীতির তদন্তভার নিল সিবিআই। ছবি: ফেসবুক থেকে

সংবাদ সংস্থা
লখনউ শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৪:৫৮
Share: Save:

উত্তরপ্রদেশে যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে তৈরির জমি কেনায় দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তভার নিল সিবিআই। ১২৬ কোটির দুর্নীতিতে যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভলপমেন্ট অথরিটি (ওয়াইইআইডিএ)-র প্রাক্তন সিইও পি সি গুপ্ত-সহ মোট ২০ জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। মায়াবতী এবং অখিলেশ যাদবের মুখ্যমন্ত্রিত্বের সময় তৈরি হওয়ার পর ২০১৮ সালে দুর্নীতির অভিযোগে এফআইআর দায়ের করে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। তখনই সিবিআই-কে তদন্তভার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যোগী। এ বার সেই তদন্ত শুরু করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

স্বাভাবিক ভাবেই দুর্নীতির অভিযোগে নাম জড়িয়েছে বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) সুপ্রিমো মায়াবতী এবং সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবের। সিবিআই অবশ্য এ নিয়ে মুখ খোলেনি। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আতসকাচের আওতায় উত্তরপ্রদেশের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীও থাকতে পারেন বলে একটি সূত্রে ইঙ্গিত মিলেছে। যদিও অভিযোগ ওঠার পর থেকেই মায়াবতী-অখিলেশ দু’জনই কেন্দ্র এবং যোগী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগ তুলে আসছেন।

গ্রেটার নয়ডা থেকে আগ্রা পর্যন্ত ১৬৫ কিলোমিটার ছ’লেনের এক্সপ্রেসওয়ে তৈরির সিদ্ধান্ত হয় ২০০৯ সালে, মায়াবতীর জমানায়। প্রায় তিন বছর পর ২০১২ সালের ৯ অগস্ট সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় এই এক্সপ্রেসওয়ে। উত্তরপ্রদেশে তখন সমাজবাদী পার্টির সরকার। মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। ২ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ করে এক্সপ্রেসওয়ে তৈরির জন্য জমি অধিগ্রহণে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।

২০১৭ সালে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই এক্সপ্রেসওয়ে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করেন যোগী আদিত্যনাথ। বিভাগীয় তদন্তের পর অভিযোগ ওঠে, ওয়াইইআইডিএ-র প্রাক্তন সিইও পি সি গুপ্ত এবং সংস্থার আরও ১৯ জন কর্মী মিলে মথুরার মোট সাতটি গ্রামের ৫৭.১৫ একর জমি কিনেছিলেন। ১৯টি সংস্থার নামে এই জমি কেনা হয়েছিল। ৫৭.১৫ একর জমি কিনতে তাঁদের খরচ হয়েছিল ৮৫.৪৯ কোটি টাকা।

পরে যখন সরকার যখন এক্সপ্রেসওয়ে তৈরির জন্য কেনে, তখন ওই জমি বিক্রি হয়েছিল অনেক বেশি দামে। তার জন্য সরকারি তহবিল থেকে ১২৬ কোটি টাকা বেশি খরচ হয়েছিল বলে যোগী সরকারের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছিল। অর্থাৎ সরকার যদি সরাসরি মালিকদের কাছ থেকে ওই জমি কিনত, তাহলে এই বেশি টাকা লাগত না। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই ২০১৮ সালের জুন মাসে এফআইআর দায়ের করে সিবিআই-কে তদন্তের আর্জি জানায় যোগী সরকার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE