গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।
পঞ্জাবে ইরাবতী নদের ওপর শাহপুরকান্ডিতে বাঁধ বানানোর প্রকল্পে সবুজ সঙ্কেত দিল কেন্দ্র। ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা ভাবছে কেন্দ্র। এর ফলে জম্মু-কাশ্মীর ও পঞ্জাবের বিস্তীর্ণ কৃষি এলাকা সেচের আওতায় আসবে। পাশাপাশি উৎপন্ন হবে জলবিদ্যুৎ। যদিও এর ফলে প্রতিবেশী পাকিস্তানের জল কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। কারণ, ইরাবতী নদ পাহাড় থেকে নেমে পঞ্জাবের সমতলভূমি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করেছে ঢুকছে পাকিস্তানেই।
১৭ বছর আগে প্রথম এই প্রকল্পের কথা ভেবেছিল ভারত। তখন এই প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছিল আনুমানিক ২,২৮৫ কোটি টাকা। কিন্তু টাকার অভাবে ঢিমে তালেই চলছিল এই প্রকল্পের কাজ। কেন্দ্র নতুন করে এই প্রকল্পের জন্য ৪৮৫ কোটি টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল এই বৃহস্পতিবারই। পাশাপাশি ২০২২ সালের মধ্যে এই বাঁধ তৈরির কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রাও দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১৯৬০ সালের ভারত পাকিস্তান সিন্ধু জলচুক্তির নির্দেশিকা মেনেই এই বাঁধ বানাচ্ছে ভারত। এমনটাই জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। সিন্ধু জলচুক্তি অনুযায়ী ভারত ইরাবতী, বিপাশা এবং শতদ্রু নদের জল নিজের ইচ্ছেমতো ব্যবহার করতে পারে।
আরও পড়ুন: ইন্টারনেট থেকে পর্ন ভিডিয়ো সরাতে কেন্দ্রের পাশে গুগল, মাইক্রোসফট, ফেসবুক
এই বাঁধের কাজ শেষ হলে পঞ্জাবের প্রায় ৫,০০০ হেক্টর কৃষিজমি এবং জম্মু ও কাশ্মীরের প্রায় ৩২,০০০ হেক্টর কৃষিজমি চলে আসবে সেচের আওতায়। পাশাপাশি উৎপন্ন হবে প্রায় ২০৬ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ।
২০০১ সালে এই প্রকল্পের কথা প্রথম ভেবেছিল যোজনা কমিশন। যদিও কখনও আর্থিক অভাব, কখনও পঞ্জাব এবং জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের মধ্যে ঝামেলার কারণে এই প্রকল্পের কাজ থমকে গিয়েছিল। কেন্দ্রের নয়া নির্দেশিকায় এখন আবার জোরকদমে এগোবে শাহপুরকান্ডি বাঁধ তৈরির কাজ।
আরও পড়ুন: কোন পরিবারকে ঘুষ দেওয়া হয় অগুস্তা কাণ্ডে? নতুন নথি নিয়ে তোলপাড়
যদিও এর ফলে নিশ্চিত ভাবেই পাকিস্তানে যাওয়া জলের পরিমাণ কমবে। কারণ, ইরাবতীর জল সীমান্ত পেরিয়ে এত দিন যেত পাকিস্তানেই। বাঁধ তৈরি হলে সেই জলের পরিমাণ কমার সম্ভাবনা প্রবল।
(ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy