প্রতীকী ছবি
বিশ্ব জুড়ে করোনা-সঙ্কটের মধ্যেও ভারত ও চিনের মধ্যে সংঘাত ক্রমশ বাড়ছে। কখনও উত্তর সিকিমের নাকু লা সেক্টরে ভারতীয় সেনার সঙ্গে সংঘাতে জড়াচ্ছে চিনা সেনা। কখনও চিনা চপার দেখা যাচ্ছে লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) বরাবর। এই পরিস্থিতিতে আজ সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নরবণে জানিয়েছেন, ভারতীয় সেনা সীমান্তে তাদের অবস্থানে অটল রয়েছে।
ভারত মহাসাগরে নৌসেনাও তাদের গতিবিধি বাড়িয়েছে কয়েক সপ্তাহে। মলদ্বীপ, মাদাগাস্কার সেসেলস-এর মত দ্বীপরাষ্ট্রগুলিতে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করতে পাঠানো হয়েছে আইএনএস জলাশ্ম, আইএনএস মগর-এর মতো পুরোদস্তুর যুদ্ধজাহাজ। কূটনীতিবিদদের মতে, এই অঞ্চলে সব সময়েই নিজেদের প্রভাব ধরে রাখতে মরিয়া থেকেছে বেজিং। করোনা ছড়িয়ে পড়ার পরে সে দেশের পক্ষ থেকে ‘হেলথ সিল্ক রুট’ নামে একটি প্রকল্প শুরু করা হয়। ভারতও তার পাল্টা এই দেশগুলিতে ওষুধ এবং আনুষঙ্গিক সহায়তা করেছে। পাশাপাশি, মলদ্বীপে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার করা হয়েছে।
গত মাসেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের চিন সফরের কথা ছিল। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বাড়তি কিছু আস্থাবর্ধক পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনার কথা ছিল সে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে। কিন্তু করোনার কারণে সেই সফর ভেস্তে গিয়েছে। কূটনৈতিক সূত্রের খবর, ভিডিয়ো-বৈঠকে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক করানোর জন্য দু’পক্ষ থেকেই চেষ্টা চলছে। সে ক্ষেত্রে চিনের সাম্প্রতিক আস্থালঙ্ঘনকারী পদক্ষেপগুলি নিয়ে সরব হওয়ার সুযোগ পাবে নয়াদিল্লি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy