ছবি: এপি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা যখন ভারতে এসেছিলেন, আগেভাগে জানিয়ে দিয়েছিলেন, দেখা করবেন কংগ্রেসের নেতাদের সঙ্গে। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্পের সফরের তিন দিন আগেও মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সনিয়া গাঁধী, রাহুল গাঁধী, মনমোহন সিংহদের সঙ্গে দেখা করার কোনও কর্মসূচি নেই। এই অবস্থায় আজ প্রথা ভেঙে ট্রাম্পের সফরের আগেই মুখ খুলল কংগ্রেস।
কংগ্রেসের সরাসরি প্রশ্ন, এই আড়ম্বর বছরের শেষে আমেরিকার নির্বাচনের প্রচার হয়েই থেকে যাবে না তো? এই ঢাকঢোলের আওয়াজে হারিয়ে যাবে না তো আসল বিষয়গুলি? কংগ্রেস বিদেশ বিভাগের দায়িত্বে থাকা নেতা আনন্দ শর্মা আজ সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, ‘‘এইচওয়ান-বি ভিসার সমাধান, সে দেশে কাজ করা পেশাদারদের সামাজিক নিরাপত্তা বাবদ নেওয়া অর্থ ফেরত এবং ভারতের সামগ্রী আমেরিকায় সস্তায় বিক্রির সুযোগ ফেরানোর মতো বিষয় সুনিশ্চিত করা দরকার ভারতের। দেশের সার্বভৌমত্ব, আত্মসম্মান ও রাষ্ট্রহিত যেন বজায় থাকে। কারণ, সফরের আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভারত ভাল ব্যবহার করেনি বলে মন্তব্য করেছেন!’’
এর পরে বিজেপির সম্বিত পাত্র নাম না করে সনিয়া গাঁধীকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘আমরা সব সময়েই ‘অতিথি দেবো ভব’-তে বিশ্বাস করি। ইটালিতে সেই প্রথা আছে কি না, খোঁজ নিতে হবে।’’ কংগ্রেসের পাল্টা বক্তব্য, ‘‘আমরা সফরকে তো স্বাগতই জানাচ্ছি। তবে আমদাবাদের সঙ্গে গাঁধীর স্মৃতি জড়িয়ে। গাঁধীর জীবন সাদামাঠা, গরিবের জন্য সমর্পিত। অথচ সেখানেই বস্তি ঢেকে, দেওয়াল তুলে গরিবের অপমান করা হচ্ছে।’’
আরও পড়ুন: বিজেপির দিকে কি ফের উদ্ধব? উঠছে প্রশ্ন
আনন্দ শর্মা বলেন, ‘‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলছেন, মোদী তাঁকে জানিয়েছেন, এক ১ কোটি লোক স্বাগত জানাবেন। অথচ আয়োজন করছে ‘ট্রাম্প নাগরিক অভিনন্দন সমিতি’! যার নেপথ্যে কে, কেউ জানে না। অথচ সব খরচ সরকারের! নরেন্দ্র মোদী কেন বুক ঠুকে বলছেন না, তাঁর বন্ধুর জন্য খরচ করছেন?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy