Advertisement
E-Paper

করোনা প্রতিরোধী হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইনের রফতানি নিষিদ্ধ করল কেন্দ্র

আইসিএমআর জানিয়েছিল, হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন করোনা সংক্রমণ রুখতে পারে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২০ ১১:৩১
প্যাকেজিং চলছে হাইড্রোক্সি ক্লোরোকুইনের। ছবি- এএফপি।

প্যাকেজিং চলছে হাইড্রোক্সি ক্লোরোকুইনের। ছবি- এএফপি।

ভারতে করোনাভাইরাসের দ্রুত সংক্রমণের প্রেক্ষিতে হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইনের রফতানি নিষিদ্ধ করল কেন্দ্রীয় সরকার। যাতে ঘরোয়া বাজারে হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইনের অভাব না হয়। বুধবার থেকেই এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে।

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর ডিরেক্টর জেনারেল বলরাম ভার্গব গত সোমবার জানান, ম্যালেরিয়া প্রতিরোধী ওষুধ হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রাথমিক ভাবে কমাতে পারে। তাই যাঁরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বা করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন বলে যাঁদের সন্দেহ করা হচ্ছে, তাঁদের চিকিৎসায় থাকা স্বাস্থ্যকর্মীরা এই ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন বলে ভার্গব জানান।

এর পর ঘরোয়া বাজারে হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইনের ঘাটতি হতে পারে অনুমান করে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের আওতায় থাকা বৈদেশিক বাণিজ্য সংক্রান্ত ডাইরেক্টরেট জেনারেলের (ডিজিএফটি) কার্যালয় বুধবার একটি বিজ্ঞপ্তিতে অবিলম্বে এই ওষুধের রফতানি নিষিদ্ধ করতে বলেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে অবশ্য এও বলা হয়েছে, এখন থেকে হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন শুধুই রফতানি করা যাবে মানবিকতার কারণে। আপৎকালীন প্রয়োজনে। বিদেশে কোনও ভারতীয় নাগরিকের খুব প্রয়োজন হলে, তখনই। তবে সেটাও করা যাবে একমাত্র বিদেশ মন্ত্রকের সুপারিশের ভিত্তিতেই।

আরও পড়ুন: গৃহবন্দি ২১ দিন, চিন্তা গরিব আর অসহায়দের নিয়ে

আরও পড়ুন: বিশ্বে মৃত বেড়ে ১৭,২৬০, আমেরিকায় আক্রান্ত প্রায় ৫০ হাজার

সংবাদমাধ্যমের খবর, করোনার সংক্রমণ রুখতে ক্লোরোকুইন ও হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন কার্যকর হতে পারে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই ঘোষণার পরেই আমেরিকায় এই দু’টি ওষুধের চাহিদা খুব বেড়ে গিয়েছে।

আইসিএমআর-এর ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে করোনা মোকাবিলায় কোনও কোনও ক্ষেত্রে হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। প্রথমে দিনে দুটো করে ও তার পর সপ্তাহে একটা করে সাত সপ্তাহ ধরে ‘ডোজ’ মেনে খেতে হবে এই ওষুধ। যেমন ম্যালেরিয়া ঠেকাতে, বিশেষ করে জঙ্গলে যাওয়ার আগে, অনেকেই এই ওষুধ খান, ঠিক তেমনই।

আইসিএমআর-এর ডিরেক্টর জেনারেল বলরাম ভার্গব এও জানান, আপামর জনগণ নয়, খাবেন শুধু সেই সব মানুষ যাঁরা সরাসরি করোনা রোগীর সংস্পর্শে এসেছেন, কিন্তু এখনও রোগের উপসর্গ দেখা দেয়নি। যেমন, করোনা রোগীর চিকিৎসা করছেন এমন ডাক্তার, নার্স, অন্যান্য সেবাকর্মী এবং কেয়ার গিভার, অর্থাৎ হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীর সেবা করছেন যিনি। তবে তাঁদের বয়স হতে হবে ১৫-র বেশি এবং তাঁদের হার্টের কোনও সমস্যা থাকলে চলবে না। তবে তার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

Coronavirus In India Hydroxychloroquine ICMR Export of Drug হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy