Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
National news

‘গোষ্ঠী’ নয়, ‘স্থানীয়’ সংক্রমণের স্তরে ভারত, লকডাউনের সুফল মিলছে দাবি স্বাস্থ্যমন্ত্রকের

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে স্যানিটাইজার দিচ্ছেন পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মীরা। —ফাইল চিত্র

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে স্যানিটাইজার দিচ্ছেন পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মীরা। —ফাইল চিত্র

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২০ ১৮:৫৬
Share: Save:

ভারতে এখনও পর্যন্ত যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের সংক্রমণের উৎস মিলেছে। আক্রান্তদের সবাই বিদেশফেরত বা করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছেন, এমন ইতিহাস রয়েছে। তাই ভারতে এখনও ‘গোষ্ঠী সংক্রমণ’-এর নজির নেই। এমনই দাবি করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআর।

গোষ্ঠী সংক্রমণের বদলে দেশ এখন ‘স্থানীয় সংক্রমণ’-এর পর্যায়ে রয়েছে বলে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে বললেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল। লকডাউনের সুফলও মিলছে বলেও এ দিন দাবি করেন লব আগরওয়াল।

সারা দেশে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১১০০। মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের। দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্র ও কেরলে। এই নিয়ে প্রতিদিন রুটিন যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক ও আইসিএমআর-এর প্রতিনিধিরা। সোমবার লব আগরওয়াল বলেন, ‘‘কোথাও আমরা কমিউনিটি ট্রান্সমিশন (গোষ্ঠী সংক্রমণ) বলতে পারছি না। আমরা এখনও স্থানীয় সংক্রমণের পর্যায়ে আছি। ‘গোষ্ঠী’ শব্দটি বললেই নানা রকম জল্পনা ছড়াবে।’’

করোনা সংক্রমণে ভারত দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে বলে জানিয়ে লব আগরওয়াল বলেন, ‘‘প্রথম পর্যায় হল, সরাসরি যাঁরা সংক্রামিত দেশে ভ্রমণ করেছেন এবং কোভিড-১৯ পজিটিভ রিপোর্ট মিলেছে। সরকারি ভাবে ভারত এখন দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছে, যে স্তরে আক্রান্ত ব্যক্তিদের থেকে সংক্রমণ ছড়ায়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, বিদেশফেরত কোনও ব্যক্তি বা আত্মীয়ের সংস্পর্শে এলে তবেই আক্রান্ত হচ্ছেন।’’

স্থানীয় সংক্রমণের বিষয়ে তাঁর দাবি, এই ক্ষেত্রে কম মানুষ আক্রান্ত হন। ভাইরাসের সংক্রমণের উৎস ও শৃঙ্খল খুঁজে পাওয়া যায়। কিন্তু গোষ্ঠী সংক্রমণের ক্ষেত্রে সেটা হয় না।

আরও পড়ুন: করোনা ছড়ালে আমরা তৈরি তো? সব জেলায় ব্যবস্থার তদারকি মুখ্যমন্ত্রীর

আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত সন্দেহে ভর্তি রোগীর মৃত্যু এনআরএসে

তাহলে গোষ্ঠী সংক্রমণ কী? চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীদের মতে, এটা সংক্রমণের তৃতীয় পর্যায়, যখন আক্রান্ত নিজে আক্রান্ত কোনও দেশে না গিয়ে বা বিদেশফেরত কোনও ব্যক্তির সংস্পর্শে না এসেও কেউ সংক্রামিত হন। এই পর্যায়ে কোথা থেকে সংক্রমণ ছড়িয়েছে, তার উৎস খুঁজে পাওয়া যায় না। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই তৃতীয় ধাপ বা গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হলে ভারতের মতো জনবহুল দেশে তা নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়বে।

গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিন সপ্তাহের লকডাউনের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার থেকে ঘরবন্দি গোটা দেশ। এই ছ’দিনে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। লকডাউন ঘোষণার দিন ২৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৭৫টি জেলায় সংক্রমণ ছড়িয়েছিল। আর ২৮ মার্চ পর্যন্ত সংক্রামণ বেড়ে ২৭টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১৬০টি জেলায়। কিন্তু অন্যান্য দেশে যে হারে ছড়িয়েছে, তার সঙ্গে তুলনা করলে ভারতে বৃদ্ধির হার কমেছে বলে দাবি স্বাস্থ্যমন্ত্রক ও আইসিএমআর-এর। লব আগরওয়াল বলেন, ‘‘আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ থেকে বেড়ে ১০০০ হতে সময় লেগেছে ১২দিন। কিন্তু অন্যান্য দেশে প্রতিদিন ৩০০০ থেকে ৫০০০ পর্যন্ত বাড়ছে। লকডাউনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কিছু সুফল আমরা পাচ্ছি।’’

অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Coronavirus in India ICMR
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE