Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
Narendra Modi

কড়া লকডাউনেও কেন বাড়ছে করোনা-সংক্রমণ? প্রশ্নের মুখে অস্বস্তিতে কেন্দ্র

করোনা রুখতে সরকারের যৌথ টাস্ক ফোর্স কমিটির সদস্য হয়েও বিশেষজ্ঞদের প্রকাশ্যে মুখ খোলায় অস্বস্তিতে কেন্দ্র।

লকডাউনের মতো কড়া সিদ্ধান্তের লক্ষ্য ছিল, সংক্রমণের কারণে যাতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় এক ধাক্কায় অনেক রোগীর চাপ এসে না-পড়ে। ছবি: রয়টার্স।

লকডাউনের মতো কড়া সিদ্ধান্তের লক্ষ্য ছিল, সংক্রমণের কারণে যাতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় এক ধাক্কায় অনেক রোগীর চাপ এসে না-পড়ে। ছবি: রয়টার্স।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০২০ ০২:৫২
Share: Save:

৬২৬ থেকে ১,৩৮,৮৪৫। সময়সীমা ২৫ মার্চ থেকে ২৪ মে, মাত্র দুমাস। দু’মাস ধরে কড়া ভাবে লকডাউন চলা সত্ত্বেও যে ভাবে ফি দিন মানুষ সংক্রমিত হচ্ছেন, তা জনগোষ্ঠীতে সংক্রমণ শুরুর মুখে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত বলেই মনে করছে চিকিৎসকদের তিনটি সংগঠন।

তিনটি সংগঠন প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে, লকডাউনের সিদ্ধান্তে সংক্রমণ কমার পরিবর্তে বেড়েছে। বিশেষ করে লকডাউনের প্রথম পর্বের বদলে কেন চতুর্থ পর্বে শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর অনুমতি দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে ওই চিঠিতে। আশঙ্কা জানানো হয়েছে, কাজ হারানো নিয়েও। চিঠিতে বলা হয়েছে, করোনা ও বেকারত্ব— যৌথ ধাক্কা দেশের পক্ষে সামলানো যথেষ্ট কঠিন হতে চলেছে। করোনা রুখতে সরকারের যৌথ টাস্ক ফোর্স কমিটির সদস্য হয়েও বিশেষজ্ঞদের এ ভাবে প্রকাশ্যে মুখ খোলায় অস্বস্তিতে কেন্দ্র।

কাল থেকে শুরু হচ্ছে পঞ্চম দফা লকডাউন। এ দফায় কন্টেনমেন্ট জ়োন ছাড়া কার্যত সব ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার নীতি নিয়েছে কেন্দ্র। তার ঠিক আগে আজ সরকারের উদ্বেগ বাড়িয়ে সর্বাধিক ৮,৩৮০ জন আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। ওই পরিসংখ্যান লকডাউন নীতির ব্যর্থতা কি না, তা জানতে চেয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা। করোনা মোকাবিলা ও ধুঁকতে থাকা অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে সরকার কী ভাবছে তা জানানোর দাবি তুলেছেন তিনি। কংগ্রেসের সুরেই লকডাউনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে ইন্ডিয়ান পাবলিক হেল্থ অ্যাসোসিয়েশন (আইপিএইচএ), ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব প্রিভেনটিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন (আইএপিএসএম), ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব এপিডেমিলোজিস্ট (আইএই)।

আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত আরও ৮০০০, সতর্ক করলেন মোদীও

আরও পড়ুন: সব কিছু খুলছে, এখন আরও বেশি সাবধান থাকতে হবে, বললেন মোদী

যৌথ বিবৃতিতে তিন সংগঠনের পক্ষে বলা হয়েছে লকডাউনের মতো কড়া সিদ্ধান্তের লক্ষ্য ছিল, সংক্রমণের কারণে যাতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় এক ধাক্কায় অনেক রোগীর চাপ এসে না-পড়ে। সেই লক্ষ্যে অনেকাংশে সফল হলেও, চতুর্থ দফা থেকেই অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়া শুরু হয়। কাজ হারান প্রায় ১১ কোটি মানুষ। ২.৭০ লক্ষ কারখানা ও ছয়-সাত কোটি ক্ষুদ্র-কুটিরশিল্প লকডাউনের ফলে স্তব্ধ। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা ও বেকারত্বের জোড়া ধাক্কা দেশের জন্য সর্বনাশ ডেকে আনতে চলেছে। প্রশ্ন তোলা হয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি পাঠানোর সময়জ্ঞান নিয়েও। বলা হয়েছে, শুরুতে সংক্রমণ কম ছিল। তখন শ্রমিকদের বাড়ি পাঠালে রোগ ছড়াত না। কিন্তু এখন শ্রমিকদের কারণে গ্রামীণ ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও সংক্রমণ ছড়িয়ে যেতে শুরু করেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Lockdown Narendra Modi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE