Advertisement
E-Paper

দেশে সংক্রমণ হার কমে ৬.১২ শতাংশ, মোট আক্রান্তের ৭৩ শতাংশই সুস্থ

নতুন করে সংক্রমিতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে আর বাড়ছে না। একটা নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যেই ঘোরাফেরা করছে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০২০ ১০:৫২
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৫৫ হাজার ৯৮১ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৫৫ হাজার ৯৮১ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।

গত কয়েকদিনে দেশের করোনা সংক্রান্ত পরিসংখ্যান আশার আলো দেখাচ্ছে। নতুন করে সংক্রমিতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে আর বাড়ছে না। একটা নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যেই ঘোরাফেরা করছে। পাশাপাশি দেশে করোনা পরীক্ষার সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। সেই সঙ্গেই কমছে সংক্রমণ হার। আক্রান্তদের সুস্থ হওয়ার সংখ্যা শুরু থেকেই স্বস্তিদায়ক। এখন তা আরও বেড়েছে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৫৫ হাজার ৯৮১ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। ওই সময়ের মধ্যে, আমেরিকা ও ব্রাজিলে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৩৪ হাজার ৬৩৮ ও ১৯ হাজার ৩৭৩ জন। অর্থাৎ এক দিনে আক্রান্ত বৃদ্ধির নিরিখে আমেরিকা ও ব্রাজিলের থেকে এগিয়ে রয়েছে ভারত। ক্রমাগত এই বৃদ্ধির জেরে দেশে মোট করোনা আক্রান্ত হলেন ২৭ লক্ষ ২ হাজার ৭৪২ জন। সেখানে বিশ্বে প্রথম স্থানে থাকা আমেরিকাতে মোট আক্রান্ত ৫৪ লক্ষ ৩৭ হাজার ও দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলে ৩৩ লক্ষ ৫৯ হাজার।

প্রতি দিন যে সংখ্যক মানুষের পরীক্ষা হচ্ছে, তার মধ্যে যত শতাংশের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসছে, সেটাকেই বলা হচ্ছে ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার। গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে এই হার রয়েছে নয় শতাংশের কম। যা বেশ স্বস্তিদায়ক। গত ২৪ ঘণ্টায় এই সংক্রমণ হার আরও কমে হয়েছে ৬.১২ শতাংশ। অগস্টের শুরু থেকেই দেশে করোনা পরীক্ষাও হচ্ছে আগের তুলনায় অনেক বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ লক্ষ ৯৯ হাজার ৮৬৪ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে দেশে। যা করোনাকালের মধ্যে সর্বোচ্চ।


(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

আক্রান্তের সংখ্যা যেমন রোজ বাড়ছে, তেমনই প্রচুর মানুষ সুস্থ হয়ে উঠছেন। দেশে কোভিড রোগীর সুস্থ হয়ে ওঠার পরিসংখ্যান শুরু থেকেই আশাব্যাঞ্জক। গত ক’দিনে রোজই ৫০ হাজারেও বেশি মানুষ সুস্থ হচ্ছেন। এখনও পর্যন্ত মোট ১৯ লক্ষ ৭৭ হাজার ৭৭৯ জন করোনার কবল থেকে মুক্ত হয়েছেন। অর্থাৎ দেশে মোট আক্রান্তের ৭৩.১৮ শতাংশ আক্রান্ত সুস্থ হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৭ হাজার ৯৩৭ জন।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

করোনার জেরে দেশে প্রাণহানি সোমবারই ৫০ হাজার ছাড়িয়েছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮৭৬ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে দেশে। এ নিয়ে মোট ৫১ হাজার ৭৯৭ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনাভাইরাস।

দেশে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর নিরিখে শুরু থেকেই শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। সে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লক্ষ ছাড়িয়েছে। ২০ হাজার ২৬৫ জন মারা গিয়েছেন এই ভাইরাসের হানায়। দ্বিতীয় স্থানে থাকা তামিলনাড়ুতে মোট আক্রান্ত সাড়ে তিন লক্ষের কাছাকাছি। যার মধ্যে ৫ হাজার ৮৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

জুলাই থেকেই সংক্রমণ ও মৃত্যুতে রাশ টেনেছে রাজধানী দিল্লিতে। সেখানে মৃতের সংখ্যা চার হাজার হলেও মোট আক্রান্ত এক লক্ষ ৫৮ হাজার। অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটক ও উত্তরপ্রদেশ মোট আক্রান্তের নিরিখে দিল্লির আগে রয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশে মোট আক্রান্ত তিন লক্ষের কাছাকাছি। সেখানে কর্নাটকে মোট আক্রান্ত ২ লক্ষ ৩৩ হাজার। উত্তরপ্রদেশে ১ লক্ষ ৫৮ হাজার। কিন্তু মৃত্যু নিরিখে অন্ধ্রপ্রদেশের (২,৭৩২) ও উত্তরপ্রদেশের (২,৫১৫) আগে রয়েছে কর্নাটক (৪,০৬২)।

পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারের আক্রান্ত সংখ্যাও এক লক্ষ পার করে বেড়ে চলেছে। তেলঙ্গানার মোট আক্রান্ত ৯৩ হাজার পেরলেও গত১০-১৫ দিনে সেখানে দৈনিক সংক্রমণ আগের তুলনায় কমেছে। অসম, গুজরাতে মোট আক্রান্ত ৮০ হাজার ছুঁইছুঁই। রাজস্থান ও ওড়িশার আক্রান্ত ৬০ হাজার পেরিয়েছে। মধ্যপ্রদেশ, কেরল, পঞ্জাব, জম্মু ও কাশ্মীরের মোট আক্রান্ত ৫০ হাজারের নীচে।

পশ্চিমবঙ্গেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৮০ জন নতুন করে আক্রান্ত হওয়ায় রাজ্যে মোট সংক্রমিত হলেন ১ লক্ষ ১৯ হাজার ৫৭৮ জন। করোনা এখনও অবধি ২ হাজার ৪৭৩ জন রাজ্যবাসীর প্রাণ কেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার জেরে রাজ্যে মারা গিয়েছেন ৪৫ জন।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)

Coronavirus COVID-19 Coronavirus in India
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy