হোয়াটসঅ্যাপ কলের মাধ্যমে দুই অভিযুক্তকে চার্জগঠনের কথা জানাল নিম্ন আদালত। এ হেন ঘটনার কথা শুনে সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য, ‘‘এটা কি মশকরা হচ্ছে?’’
২০১৬ সালে ঝাড়খণ্ডে এক সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে সে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী যোগেন্দ্র সাও ও তাঁর স্ত্রী নির্মলা দেবীর বিরুদ্ধে। বরকাগাঁওতে এনটিপিসি-র কয়লাখনি প্রকল্পের বিরুদ্ধে আন্দোলনে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছেন যোগেন্দ্র ও নির্মলা। তার জেরে রাজ্যের বিজেপি সরকার তাঁদের একাধিক মামলায় জড়িয়েছে বলে অভিযোগ যোগেন্দ্রর ঘনিষ্ঠ শিবিরের।
২০১৬ সালের সংঘর্ষের ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টে জামিন পান যোগেন্দ্র-নির্মলা। শীর্ষ আদালত জামিনের শর্ত হিসেবে জানায়, যোগেন্দ্র-নির্মলাকে ভোপালে থাকতে হবে। আদালতের শুনানিতে হাজিরা দেওয়া ছাড়া তাঁরা ঝাড়খণ্ডে ঢুকতে পারবেন না। হাজারিবাগের জেলা আদালত থেকে ভোপালের জেলা আদালতে ভিডিয়ো কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে এই মামলার শুনানি চালানোর নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত।
সম্প্রতি যোগেন্দ্র-নির্মলার আইনজীবী বিবেক তনখা সুপ্রিম কোর্টে জানান, ভিডিয়ো কনফারেন্সিং ব্যবস্থা বেশিরভাগ সময়েই ভাল ভাবে কাজ করেনি। ফলে ১৯ এপ্রিল হোয়াটসঅ্যাপ কলের মাধ্যমে যোগেন্দ্র-নির্মলাকে চার্জগঠনের কথা জানানো হয়।
এ কথা শুনে ক্ষুব্ধ হয় বিচারপতি এস এ বোবদে ও বিচারপতি এল এন রাওয়ের বেঞ্চ। বিচারপতিরা ঝাড়খণ্ডের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, ‘‘ঝাড়খণ্ডে কী হচ্ছে? হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বিচার চালানো হচ্ছে। এটা চলতে দেওয়া যায় না। এটা কি মশকরা হচ্ছে?’’
ঝাড়খণ্ডের আইনজীবী জানান, যোগেন্দ্র জামিনের শর্ত ভেঙে অধিকাংশ সময়েই ভোপালের বাইরে থাকায় মামলার শুনানিতে দেরি হয়েছে। বেঞ্চ জবাব দেয়, ‘‘সেটা অন্য প্রশ্ন। যদি অভিযুক্ত জামিনের শর্ত ভাঙেন তবে তা নিয়ে আলাদা আর্জি জানান। যাঁরা জামিনের শর্ত ভাঙেন তাঁদের প্রতি আমাদের কোনও সহানুভূতি নেই।’’ যোগেন্দ্র-নির্মলার আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেলরা রাজনীতিক। এনটিপিসি-র কয়লাখনির বিরুদ্ধে আন্দোলনের জেরে তাঁদের বিরুদ্ধে অনেক মামলা রয়েছে। দিল্লিতে রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে মামলার জন্য তৈরি বিশেষ আদালত রয়েছে। যোগেন্দ্র-নির্মলার বিরুদ্ধে মামলাগুলিকে সেই আদালতে সরিয়ে আনতে আর্জি জানিয়েছেন তাঁদের আইনজীবী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy