Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Crime

উঁচু ‘জাতে’ বিয়ে, গুজরাতে শ্বশুরবাড়ির লোকের হাতে খুন দলিত যুবক

দলিত পরিবারে মেয়ের বিয়ে শুরু থেকেই মেনে নিতে পারেনি ঊর্মিলার পরিবার। বিয়ের দু’মাস পর হরেশের বাড়ি থেকে গর্ভবতী মেয়েকে বাড়ি নিয়ে আসেন তাঁরা।

—প্রতীকী ছবি।

—প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
আমদাবাদ শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৯ ১৯:২৯
Share: Save:

উঁচু জাতের মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন। ‘অপরাধ’ বলতে এটুকুই। নিজের প্রাণ দিয়ে তার মাশুল গুনতে হল গুজরাতের এক দলিত যুবককে। পুলিশের চোখের সামনে তাঁকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে।

সোমবার বিকেলে আমদাবাদের মণ্ডল তালুকের বরমোর গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত ওই যুবকের নাম হরেশকুমার সোলাঙ্কি (৩৫)। কচ্ছের বাসিন্দা তিনি। মাস ছয়েক আগে বরমোর গ্রামে ঊর্মিলাবেন জালাকে বিয়ে করেন।

দলিত পরিবারে মেয়ের বিয়ে শুরু থেকেই মেনে নিতে পারেনি ঊর্মিলার পরিবার। বিয়ের দু’মাস পর হরেশের বাড়ি থেকে গর্ভবতী মেয়েকে বাড়ি নিয়ে আসেন তাঁরা। তার পর আর তাঁকে ফিরে যেতে দেননি বলে অভিযোগ। সেই থেকে বার বার চেষ্টা করেও স্ত্রীর নাগাল পাননি হরেশ। শেষমেশ উইমেন্স হেল্পলাইন ১৮১-র দ্বারস্থ হন তিনি।

আরও পড়ুন: রোজভ্যালি-কাণ্ডে ইডি-র মুখোমুখি হতে চলেছেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ​

সেই মতো সোমবার বিকেলে এক মহিলা পুলিশ কনস্টেবল, গাড়ির চালক এবং এক কৌঁসুলিকে নিয়ে ঊর্মিলার বাপেরবাড়িতে হাজির হন হরেশ। আলাপ আলোচনার মাধ্যমে মিটমাট করে নিয়ে ঊর্মিলাকে স্বামীর বাড়িতে ফিরিয়ে আনাই উদ্দেশ্য ছিল তাঁদের।

আচমকা হরেশ ওই বাড়িতে হাজির হলে পরিস্থিতি অন্য দিকে মোড় নিতে পারে ভেবে তাঁকে জিপে বসে থাকার পরামর্শ দেন ওই কৌঁসুলি। তিনি ওই পুলিশ কর্মীকে নিয়ে ঊর্মিলার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। এক মাসের মধ্যে মেয়েকে শ্বশুরবাড়ির ফেরত পাঠাবেন বলে সেখানে তাঁদের প্রতিশ্রুতি দেন ঊর্মিলার বাবা দশরথসিংহ জালা। কিন্তু তাঁদের এগিয়ে দিতে এসে গাড়িতে হরেশকে দেখে তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন উর্মিলার পরিবারের সকলে। তাঁকে গাড়ি থেকে মারধর শুরু করা হয়। তলোয়ার, ছুরি দিয়ে কোপানোও হয় বলে অভিযোগ। তাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় হরেশের। মারধর করা হয় ওই মহিলা পুলিশ কর্মীকেও। ভাঙচুর চালানো হয় গাড়িটিতে।

আরও পড়ুন: গ্রিন কার্ড পেতে কমতে পারে প্রতীক্ষার মেয়াদ! সিদ্ধান্ত নেবে মার্কিন কংগ্রেস​

উইমেন্স হেল্পলাইনের কাউন্সেলিং অফিসার ভাবনা ভগোরা পরে বিষয়টি নিয়ে মণ্ডল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে দশরথসিংহ জালা, ইন্দ্রজিৎ জালা, হাসমুখসিংহ জালা, জয়দীপসিংহ জালা, অজয়সিংহ জালা-সহ পরিবারের আরও তিন সদস্যের বিরুদ্ধে তফসিলি জাতি এবং উপজাতির বিরুদ্ধে নৃশংসতা প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। তবে অভিযুক্তরা সকলেই পলাতক। তাদের খুঁজে বার করতে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE