প্রতীকী ছবি।
তাঁর বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্নতাবাদী ও সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করার অভিযোগে অসম সরকার আগেই মামলা করেছিল। সেই শাহিন বাগ প্রতিবাদের অন্যতম উদ্যোক্তা সারজিল ইমামের বিরুদ্ধে এ বার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করল দিল্লি পুলিশ। সেই সঙ্গে আজ পুলিশ ও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি দল ইমামের বিহারের বাড়িতে হানা দেয়। তাঁর দুই আত্মীয়কে আটক করা হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিয়ো থেকে। ওই ভিডিয়োয় অসমকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার দাবি তুলেছিলেন সারজিল। গতকাল দিনভর এ নিয়ে হইচই করেন বিজেপি নেতা, মন্ত্রীরা। বিজেপির দাবি, নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে তৈরি হওয়া শাহিন বাগের মঞ্চে এই কথা বলেছেন সারজিল। তাদের অভিযোগ, এই ভিডিয়োতেই বোঝা গিয়েছে শাহিন বাগের চেহারা। তা আসলে দেশবিরোধী স্লোগানের আখড়া। তবে আন্দোলনকারীরাও পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন, এই ভিডিয়ো যদি শাহিন বাগেরই হয় তা হলে কেন বক্তাকে অবিলম্বে গ্রেফতার করল না দিল্লি পুলিশ? নাকি এ নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তোলাই মূল লক্ষ্য বিজেপির?
সেই চর্চায় জল ঢালতেই আজ সারজিলের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশ মামলা করেছে বলে মত বিরোধীদের।
আরও পড়ুন: ভোটের আগে রাজপথে অস্ত্রের ঢালাও প্রদর্শনী
শাহিন বাগ আন্দোলনের শুরুতে যুক্ত থাকলেও পরে মতান্তর হওয়ায় সারজিল এই আন্দোলন থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। আইআইটি-মুম্বইয়ের এই খামখেয়ালি প্রাক্তনী জেএনইউয়ে পড়েছেন। এর আগেও আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের প্রতিবাদ সভায় দেশবিরোধী কথা বলায় অভিযুক্ত হন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy