ললিত মোদীকে ‘সাহায্য’ করা দুই নেত্রীকে নিয়ে এমনিতেই নাস্তানাবুদ অবস্থা কেন্দ্রীয় সরকারের। এর মধ্যেই আডবাণীর ছোঁড়া ঢিল কাঁটার মত বিঁধল মোদী সরকারের গায়ে।
সম্প্রতি একটি ইংরেজি দৈনিক সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে বিজেপির বর্ষিয়ান নেতা আডবানী জানান, দেশে জরুরি অবস্থা জারির পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। দেশে এখন যোগ্য নেতৃত্বের অভাব রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর এ হেন মন্তব্যের পর থেকেই দেশ জুড়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। কারও মতে নাম না করে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বকেই বিঁধেছেন প্রবীণ এই বিজেপি নেতা, কেউ আবার বলছেন, এটা তাঁর একান্তই ব্যক্তিগত মত। আর পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বিজেপি-কে আক্রমণ করতে মাঠে নেমে পড়েছে কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি।
আডবাণীর দাবি, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে জরুরি অবস্থা জারির সম্ভাবনা রয়েছে। তাঁর মতে, এমনই এক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাওয়ার ফলেই ১৯৭৫ সালে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করতে হয়েছিল। বর্তমান সরকারের শাসনকালও সে দিকেই এগোচ্ছে।
আডবাণীর এই মন্তব্য মোদীর কাছে একটি বার্তা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। যদিও বিজেপির দাবি, বয়স এবং অভিজ্ঞতায় অনেক এগিয়ে রয়েছেন আডবাণী। পাশপাশি বিজেপির ‘মার্গদর্শক মণ্ডলের’ সদস্যও তিনি। তাই বিশেষ কোনও বার্তা দেওয়ার হলে তিনি সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পারেন। তার জন্য কোনও সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাত্কারের প্রয়োজন নেই। বিজেপির মুখপাত্র এম জে আকবর বলেন, “কোনও ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করা তাঁর লক্ষ্য নয়। দেশের বর্তমান গণতান্ত্রিক কাঠামো যথেষ্ট শক্তিশালী। এই মুহূর্তে এমন পরিস্থিতি আসা অসম্ভব।’
কংগ্রেসের মুখপাত্র জানান, সরাসরি মোদীর নাম না নিলেও তাঁর কথা থেকে স্পষ্ট তিনি দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর প্রসঙ্গেই মন্তব্য করেছেন। আম আদমি পার্টির এক নেতার কথায়, মোদী জমানায় দেশের পরিস্থিতি দিনকে দিন যে ভাবে অবনতি ঘটছে তাতে জরুরি অবস্থা বিশেষ দেরি নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy