বিক্ষোভকারীরা দেশের রাজধানী অবরুদ্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিতেই সিল করা হল দিল্লির সীমানা। সেই সঙ্গে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তাও। কৃষক সংগঠনগুলি কেন্দ্রীয় আলোচনার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার পর রবিবার গভীর রাতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এবং কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমরের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওই বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে দেশের শাসকদলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী কৃষি আইনের পক্ষে সওয়াল করছেন। রবিবার তাঁর ‘মন কি বাত’ বক্তৃতা থেকেও মোদী বার্তা দিয়েছিলেন কৃষকদের। কিন্তু কোনও কিছুতেই দমছে না বিক্ষোভ। সোমবার গুরু নানকের জন্মদিনেও পরিস্থিতির কোনও বদল হয়নি। বরং দেশের রাজধানীর সীমানায় কৃষকদের মিছিলের ভিড় যত লম্বা হচ্ছে ততই চড়ছে উত্তেজনার পারদ। গত সপ্তাহেই আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু তা খারিজ করে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। বেগতিক দেখে রবিবার গভীর রাতে নয়াদিল্লিতে দলের সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডার বাসভবনে বৈঠকে বসেন অমিত। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ-ও। সূত্রের খবর, তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং দলীয় সভাপতির ওই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল ৩ কৃষি আইনের প্রতিবাদে কৃষকদের ‘দিল্লি চলো’ অভিযান। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
Delhi: Farmers protesting at Tikri border (Delhi-Haryana border) offer prayers and distribute 'prasad' among each other and security personnel on the occasion of #GuruNanakJayanti pic.twitter.com/2eWZji4z6g
— ANI (@ANI) November 30, 2020
In solidarity with our farmers ✊#FarmersDilliChalo pic.twitter.com/iMFhBlhAjN
— Aishe (ঐশী) (@aishe_ghosh) November 29, 2020
• দিল্লির সীমানা সিল করে দেওয়া হয়েছে।
• দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমানার নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে।
• টিকরি এবং সিঙ্ঘু সীমানায় যান চলাচল আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
• হরিয়ানা যাওয়ার জন্য ঝরোদা, ধানসা, দৌরালা ঝাটিকেরা, বাদুসারি, কাপাশেরা, পলাম বিহার এবং দৌন্দেরার রাস্তা খোলা রয়েছে।
• দিল্লি-হরিয়ানা সীমানায় খোলা হয়েছে মেডিক্যাল ক্যাম্প।
Traffic congestion at Delhi-Gurugram (Haryana) border in view of #FarmersProtest.
— ANI (@ANI) November 30, 2020
DCP South-West, Ingit Pratap Singh says, "We haven’t received any inputs on farmers coming here. We are taking precautionary measures and preparing for the same at both Singhu and Tikri border." pic.twitter.com/JRivic29N1
আরও পড়ুন: কমল সক্রিয় রোগী, মৃত্যুও, দৈনিক সংক্রমণ নামল ৩৯ হাজারের নীচে
আরও পড়ুন: গুরুত্বপূর্ণ পদে মহিলারাই পছন্দ বাইডেনের, বাজেট বিভাগের দায়িত্বে প্রথম কোনও ভারতীয় বংশোদ্ভূত
দিল্লিতে বিক্ষোভ দেখানোর বদলে শহরতলি বুরারির নিরঙ্কারী মাঠে কর্মসূচি পালন করার প্রস্তাব দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু কৃষক সংগঠনগুলি সেই প্রস্তাব উড়িয়ে দেয়। উল্টে হুমকির সুরেই ভারতীয় কিসান ইউনিয়ন ক্রান্তিকারী (পঞ্জাব)-এর সভাপতি কৃষক নেতা সুরজিৎ এস ফুল বলেন, ‘‘বুরারির মাঠের জেলখানায় যাওয়ার থেকে আমরা দিল্লিতে ঢোকা বেরোনের পাঁচটি প্রধান সড়ক অবরুদ্ধ করে রাজধানী ঘেরাও করব। আমরা চার মাসের রেশন নিয়ে এখানে এসেছি। তাই কোনও চিন্তা নেই। আমাদের অপারেশন্স কমিটি সব বিষয়ে নজর রাখছে।’’
বস্তুত, দিল্লি প্রবেশের জন্য সোনিপথ, রোহতক, জয়পুর, গাজিয়াবাদ-হাপুর এবং মথুরা এই ৫টি পথ রয়েছে। সেই ৫টি রাস্তাই আটকে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। কৃষক সংগঠনগুলির দাবি, ২ মাসেরও বেশি সময় ধরে তাঁরা দিল্লিতে বিক্ষোভ দেখানোর পরিকল্পনা করেছেন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, ৫০০টি সংগঠনের অন্তত ৩ লক্ষ কৃষক তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন।