দূষণে মুখ ঢেকেছে দিল্লি।
দীপাবলির পরে দিল্লির অবস্থা শোচনীয়। দূষণের চাদর ঢেকে দিয়েছে গোটা রাজধানী ও সংলগ্ন এলাকা। এই পরিস্থিতিতেই ভারতের মাটিতে পা রেখেছেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল। কূটনৈতিক ডামাডোলের মধ্যেও এই দূষণচিত্র তাঁর চোখ এড়ায়নি। শুক্রবার অ্যাঞ্জেলা প্রতিশ্রুতি দিলেন, পরিবেশ রক্ষার্থে আগামী পাঁচ বছরে ভারতে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা লগ্নি করবে জার্মানি।
নিষেধাজ্ঞা না মেনে দিল্লিতে বাজি পোড়ানোর ফল বাতাসের মান এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে সুপ্রিম কোর্ট নিয়োজিত পরিবেশ দূষণ (প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ) কর্তৃপক্ষ। তড়িঘড়ি ৫ নভেম্বর পর্যন্ত ছুটি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে রাজধানী সংলগ্ন স্কুলগুলিতে। শুক্রবার এক সাংবাদিক বৈঠকে এই পরিস্থিতি বদলের দাওয়াইও দিলেন আঙ্গেলা। তাঁর কথায়,‘ডিজেল গাড়ি সরিয়ে বৈদ্যুতিক গাড়ি আনলে দিল্লির অবস্থা বদল হবে। আমরা পরিবেশ রক্ষার্থে ভারতকে সাহায্য করব। শহরে সবুজায়নের ব্যাপারে আমরা উদ্যোগী। এই জন্যে ৮ হাজার কোটি টাকা লগ্নিতে উদ্যোগী হয়েছে জার্মানি।’
শনিবারের রাজধানীর আবহাওয়া শুক্রবারের তুলনায় সামান্য ভাল। বায়ুর গুণগত সূচক শুক্রবার বিকেল ৪টেয় ছিল ৪৮৪। এদিন সকালে তা নেমে দাঁড়ায় ৪০৭ এ। বাতাসে ধূলিকনার পরিমাণ এদিন সকালে ছিল ২৬৯ মাইক্রোগ্রাম। যদিও তাও স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি।আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, রবিবার থেকেই দিল্লিতে ২০-২৫ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইবে। এর ফলে বাতাস আরেকটু পরিষ্কার হবে। আগামী ৭ তারিখ থেকে দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে। দূষণমাত্রা রোধে এই বৃষ্টি কার্যকারী ভূমিকা নেবে বলেই মনে করছেন আবহবিদরা।
শুধু দিল্লির সবুজায়ন নয়, তামিলনাড়ুর বাস পরিষেবাতেও বিনিয়োগ করতে আগ্রহী জার্মানি। আঙ্গেলা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, এই খাতে প্রায় ১৬ লক্ষ কোটি টাকা লগ্নি করা হবে ভবিষ্যতে। এছাড়াও আগামী দিনে স্বাস্থ্য, চাষবাস, আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স নিয়ে কাজ করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন আঙ্গেলা।
আরও পড়ুন: ছট পুজো করবই! গেট ভেঙে রবীন্দ্র সরোবরে ঢুকে পড়লেন একদল
আরও পড়ুন:মুঘলদের মতো হুমকি দিচ্ছে বিজেপি, তোপ দাগল শিবসেনা
শুক্রবারের দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে ভারত-জার্মানি দুই দেশই ফ্রি ট্রেড চুক্তি (এফটিএ) বলবৎ করার জন্যে নতুন করে কথা শুরু করে। ২০১৩ থেকে এই চুক্তি নিয়ে টালবাহানা চলছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রতিনিধি দেশ এবং ভারত যাতে এই বিষয়ে মতানৈক্য দূর করতে পারে তা আরও সক্রিয় ভাবে দেখবে ভারত জার্মানি।
২০০৭ সালে প্রথম প্রস্তাব আনা হয় এফটিএ-এর। ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে মেধাসত্ত্ব, গাড়ি শিল্প, পানীয়ের শুল্কের মত বিষয়গুলিতে মতপার্থক্য এখনও দূর করা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy